ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’, আঘাত হানতে পারে রবিবার

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী রবিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আঘাত হানতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ফণি’। আর এই নিম্নচাপের কারণে ইতিমধ্যে সাগর উত্তাল হতে শুরু করেছে। দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি)।

বিএমডি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৭০, কক্সবাজার থেকে ২০৮৫, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৮৫ এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। শুক্রবার দেশে তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। এদিন ঢাকায় বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এর অনুভূতি ছিল ৪০ ডিগ্রির মতো।

এদিকে, নিম্নচাপ কেন্দ্রে ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, নিম্নচাপটি শনিবার অথবা রবিবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা কতটা শক্তিশালী হবে বা তা সিডরের মতো প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা তা এর গতিপথের ওপর নির্ভর করবে। এখন বাংলাদেশের উপকূল থেকে যে দূরত্বে অবস্থান করছে তাতে এটি শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ফণি। এটি বাংলাদেশের দেওয়া নাম।