নুসরাতের হত্যার বিচারে দাবিতে রাস্তায় নামলেন সেলিব্রিটিরা

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে রাজপথে রাস্তায় নেমেছেন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের সেলিব্রিটিরা।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র কর্পোরেশনের সামনের রাস্তায় যৌথভাবে মানববন্ধন করে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও ডিরেক্টরস গিল্ড।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নুসরাতের সঙ্গে যা হয়েছে, তা বাংলাদেশের কেউ মেনে নেয়নি। নিতে পারে না। আমরা নুসরাতকে বলছি, আমাদের যতক্ষণ নিশ্বাস আছে, আমরাও প্রতিবাদ করে যাব।

চিত্রনায়ক আলমগীর বলেন, নুসরাতের সঙ্গে যা হয়েছে, তা বাংলাদেশের কেউ মেনে নেয়নি। নিতে পারে না। বিচারের দাবিতে আজ সবার সঙ্গে আমরা সাধারণ শিল্পীরাও রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। সাত দিনের মধ্যে যদি সমাধানের দিকনির্দেশনা না পাই, তবে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

মানবনন্ধনে চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, মৃত্যুর আগে নুসরাত বারবার বলেছিল, যতক্ষণ নিশ্বাস আছে, প্রতিবাদ করে যাবে। আজ নুসরাত নেই। তবে আমরা আছি। নুসরাতকে বলছি, আমাদের যতক্ষণ নিশ্বাস আছে, প্রতিবাদ করে যাব।

এসময় নাট্যনির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বলেন, আমরা এমন একটি বিচার দাবি করছি, যেন এই বিচার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মাটিতে আমরা এমন নৃশংসতা দেখতে চাই না।

মানববন্ধনে অংশ অংশগ্রহণ করেন, বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীর, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক, শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম, চিত্রতারকা রিয়াজ ও অঞ্জনা, নাট্যজন সারা যাকের, পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, অভিনয়শিল্পী ও সংগঠক রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিক্ষা দিতে যায় নুসরাত। এরপর সেসময় তাকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আর সেখানে ৫দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গত বুধবার রাতে মারা যান নুসরাত।