নুসরাত হত্যা মামলার আসামি আ’লীগ নেতা মোকসুদ গ্রেপ্তার

মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, পৌর কাউন্সিলর মোকসুদ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পুলিশ জানায়, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে পরে জানানো হবে। নুসরাতের ভাই নোমানের দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় আসামি ছিলেন তিনি।

এদিকে প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ৭ দিনের রিমান্ডে আছেন। এছাড়া ওই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন এবং নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, নুসরাতের সহপাঠী ও মামলার প্রধান আসামী সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার ভাগনী উম্মে সুলতানা পপি ও আরেক মাদরাসা শিক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ ৫ দিনের রিমান্ডে আছে।

তাছাড়া এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখোনও পলাতক রয়েছেন- সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের ওই মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন শামিম, হাফেজ আবদুল কাদের ও নুর উদ্দিন।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।

এরপর এ বিষয়ে করা মামলা প্রত্যাহারের চাপ দিতে নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা চলাকালে গত ১০ এপ্রিল বুধবার রাতে মৃত্যু হয়।