ফাঁকা বাড়িতে দৈহিক মিলন, অন্য প্রেমিকার ফোন, প্রেমিককে কঠিন শাস্তি দিল প্রেমিকা

একাধিক প্রেম করার খেসারত হিসেবে শেষে নিজের জীবনটাই দিতে হল হবিগঞ্জের লাখাইয়ের এক কলেজ ছাত্রের। তার প্রেমিকাই তাকে খুন করে লাশ গুম করেছিল। নিখোজের ২ মাস পর বেড়িয়ে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নিহত ওই ছাত্র মুড়াকরি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২২)। সে মাধবপুর সৈয়দ সাঈদ উদ্দিন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এ ঘটনায় একই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মঞ্জু মিয়া ও তার মেয়ে ফারজানা আক্তারকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, মঞ্জু মিয়ার মেয়ে ফারজানা ও শাহ আলমের ছেলে উজ্জল মিয়া একই কলেজে পড়াশোনা করত। ফেসবুকে তাদের মধ্যে পরিচয় হয় এবং সেখান থেকে প্রেম। এরপর উজ্জল মাঝে মধ্যেই ফারজানাদের বাড়িতে যাতায়াত করত।

ঘটনার দিন ফারজানার বাবা মা কেউই বাড়িতে ছিল না। তারা ঢাকা গিয়েছিল। ফলে ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিকার কাছে যায় উজ্জল। সেখানে দুজনেই যৌনতায় মেতে উঠে। তখনই উজ্জলের আরেক প্রেমিকা ফোন করে অনেকবার। কিন্তু উজ্জল তা রিসিভ না করে ম্যাসেজ দেয় যা পরে দেখেফেলে ফারজানা।

এরপর নিজে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ফারজানা। কিন্তু শেষে পরিকল্পনা পাল্টে প্রেমিককেই কঠিন শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয় সে। ওই রাতেই ঘরে থাকা মসলা বাটার শিল (পুথাল) দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ বস্তায় ভরে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে। পরদিন ঢাকায় গিয়ে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। তার বাবা ঢাকা থেকে এসে মরদেহ নিয়ে মেন্দি হাওরে পুঁতে রাখেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারী উজ্জলের বাবা জিডি করেছিল থানায়। এরপর ২১ এপ্রিল ফারজানা ও তার বাবাকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা এসব স্বীকার করে। তাদের দেখানো তথ্যে সোমবার বিকেলে হাওর থেকে উজ্জলের লাশ উদ্ধার করা হয়।