ফোন করে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব, রাজি হলেই প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বেশি নম্বরের প্রতিশ্রুতি

সম্প্রতি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, ভোগান্তি, হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ওই স্কুলের ১৩ জন শিক্ষার্থী এবং ১১ জন অভিভাবক গত ১১ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ফজলুর রহমানকে অপসারণ ও তার কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন তারা।

এদিকে তাদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘ওই প্রতিষ্ঠানের গণিত বিভাগের শিক্ষক ফজলুর রহমান রাতে ছাত্রীদের ফোন করে কুপ্রস্তাব দেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি হলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বেশি নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তাছাড়া শিক্ষার্থীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন তিনি। প্রাইভেট পড়ানোর সময় একাধিক ছাত্রীর স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়াসহ যৌন হয়রানি করেন ওই শিক্ষক।

এদিকে তাদের দেয়া তিন পৃষ্ঠার এই অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে মোট ১২টি অভিযোগ উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত অপসারণ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের মতো ঘটনা এখানেও ঘটতে পারে।’

এদিকে অভিযুক্ত গণিত শিক্ষক ফজলুর রহমানকে গতকাল ১৩ এপ্রিল শনিবার স্কুলে গিয়ে পাওয়া যায়নি। আর ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল কুমারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তে ওই শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার ঘটনা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’