আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে গড়াবে এবারের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর ক্রিকেট বিশ্বকাপ। কিন্তু তার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশিও সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে ১ মে মাশরাফির নেতৃত্বে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। তবে তার আগে সোমবার সাংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার বেলা ১২টায় হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলারর প্রেস কনফারেন্সে বিশ্বকাপ ও আয়ারল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি সম্পর্কে নানা দিক তুলে ধরেন মাশরাফি।
এ সময় অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘গত কয়েকবছর থেকে আমাদের এই টিমটা যথেষ্ট ব্যালেন্সড। জুনিয়ররাও অনেকে বিশ্বকাপ খেলেছে। তবে একটা কথা হচ্ছে, শুধু যে অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো ক্রিকেট খেলবে তা কিন্তু নয়। এর জন্য সবাইকে ইউনাইটেড থাকতে হবে।’
এদিকে বিশ্বকাপ কিংবা বড় আসরে বাংলাদেশ টিমের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এক-দুইটি ম্যাচ হারলে দিশেহারা হয়ে পড়া। তবে মাশরাফি মনে করেন, এটা মোটেও করা উচিত নয়। একম্যাচ হারলে নেক্সট ম্যাচে যাতে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো যায় সে মানসিকা থাকতে হবে। আর সেটা আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকেই গড়ে তুলতে হবে সবাইকে।
এ সময় জানতে চাওয়া হয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলা বাংলাদেশের জন্য কতটা কঠিন হবে? এছাড়া এই মাঠে আদৌ বড়সড় রান তুলতে পারবে টাইগাররা?
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে আমরা জানতাম রান করা কঠিন। কিন্তু এখন সেখানে প্রচুর রান হয়। কারণ আইসিসির আশাই থাকে প্রচুর রান হতে হবে এই ব্যবস্থ করা। সেখানে বোলারদের জন্য কঠিন। এই যেমন আমাদের স্পিনার নাই। রান করার সামর্থ্য বলতে অতীতে আমাদের এমন কোন রেকর্ড নাই।’
‘তবে শেষ বিশ্বকাপে আমরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২৯ রান করেছি। কারণ আমাদের কান্ডিশনে এতবড় রান হয়না। কারণ আমাদের কন্ডিশনে এতরান হয়। এখানে অভ্যাসেরও একটা ব্যাপার স্যাপার থেকে যায়। তবে বলা তো যায় না হয়েও যেতে পারে।’
এ সময় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ টিমের টার্গেট সম্পর্কে মাশরাফি বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছুই নাই। আমি সবসময় লাকে বিশ্বাসী। তবে তার জন্য মেহনত করতে হবে। কষ্ট করতে হবে। অনেক বেস্ট টিম সেমিতে উঠেনি এমনকী বিশ্বকাপও জিতেনি।’