রাজধানীর ডেমরায় মাদ্রাসাছাত্র গত ৭ এপ্রিল দুই বোনের সঙ্গে মাদ্রাসায় গেলে শিশু মনির হোসেনকে (৮) অপহরণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শিশু মনিরকে অপহরণের পর মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে হত্যা করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল হাদী। সঙ্গে ছিল তার দুই সহযোগী মো. আকরাম হোসেন ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহা।
হত্যাকরী জানায়, শিশু মনিরের লাশ বস্তায় ভরে সিঁড়ির পাশে রেখে দেয় তারা। এর পর তারা মনিরের পরিবারের কাছে মুক্তিপণও দাবি করেন।
আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান।
তিনি জানান, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রংয়ের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, মৃতদেহের পড়নে থাকা গ্যাবাডিংয়ের ফুল প্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।
লৌমহর্ষ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রথমে আব্দুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।পরে গতকাল মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেপ্তার করা হয়।