মানবাধিকারকর্মীকে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রচার চালাল শ্রীলংকান পুলিশ!

শ্রীলংকায় ইস্টার সানডে হামলার ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়। এ হামলার পর কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আরও ছয় সন্দেহভাজনের ছবিসংবলিত একটি প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। যাতে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন। রবিবারের হামলায় যোগসাজশের অভিযোগে তাদের হন্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছে বলে এতে বলা হয়। কিন্তু প্রচারপত্র বিলিতে এক মার্কিন মুসলমান নারী মানবাধিকারকর্মীকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করে প্রচার চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ছয় সন্দেহভাজনের ছবিসংবলিত একটি প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। যাতে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন। রোববারের হামলায় যোগসাজশের অভিযোগে তাদের হন্যে হয়ে খোঁজা হচ্ছে বলে এতে বলা হয়। এই ছয়জনের মধ্যে আবদুল কাদের ফাতিমা খাদিজা একজন রয়েছেন। যাকে এ হামলার ঘটনায় জেরা করতে তার খোঁজ চাওয়া হয়েছে প্রচারপত্রে।

কিন্তু ছবিতে শ্রীলংকান বংশোদ্ভূত মার্কিন মুসলিম নারী আমারা মজিদের ছবি দেয়া হয়েছে। আমারা মজিদ মুসলমানদের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবিরাম ক্ষোভ ও বিদ্বেষের প্রতিবাদ জানাতে ২০১৫ সালে তাকে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে আমারা মজিদ লিখেছেন, হ্যালো, সবাইকে বলছি- শ্রীলংকার ইস্টার সানডে হামলায় একজন সন্দেহভাজন হিসেবে আমাকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এটা পুরোপুরি ও পরিষ্কারভাবে মিথ্যা। আমি খোলাখুলিভাবে বলছি- মুসলমান সম্প্রদায় এই ইস্যুতে ব্যাপকভাবে নজরদারির শিকার হচ্ছেন।

তবে বৃহস্পতিবার শ্রীলংকান পুলিশ জানায়, আবদুল কাদের ফাতিমা খাদিজার নামের পাশে যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ নন, তাকে জেরার জন্য খোঁজা হচ্ছে না। কেবল আবদুল কাদের ফাতিমা খাদিজাকে জেরার জন্য খোঁজা হচ্ছে।