মায়ের কুরআন তেলাওয়াত শুনে ৩৭টি সুরা মুখস্থ করল ৩ বছরের শিশু

আল্লাহর কিতাব কোরআন যারা মুখস্থ করেন তাদের হাফেজ বলা হয়। আল্লাহর কাছে পবিত্র কোরআনের হাফেজদের মর্যাদা অনেক উপরে। তাইতো যুবক কিংবা বয়স্ক নর-নারী মুসলামন ভাই-বোনেরা আল কোরআন মুখস্থ করেন।

কিন্তু আজারবাইজানের তিন বছর বয়সী ফুটফুটে মেয়ে ‘জাহরা হোসাইন’ অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এই বয়সেই সে পবিত্র কোরআনে কারিমে ৩৭টি সূরা মুখস্থ করে সে দেশের কনিষ্ঠ হাফেজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে জাহরা হোসাইন।

এ ব্যাপারে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসবাসকারী কনিষ্ঠ হাফেজ জাহরার মা জানান, জাহরা যখন তার গর্ভে তখন তিনি বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করতেন। উচ্চস্বরের কুরআনের তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতেন।

তিনি আরও জানান, জাহরার জন্মের পর ছড়া কিংবা কবিতার পরিবর্তে জাহরাকে ঘুম পাড়াতে কুরআনের ছোট ছোট সুরাগুলো তেলাওয়াত করতেন।

এদিকে জাহরার বয়স যখন ১ বছর তখন থেকেই তার মা লক্ষ্য করেন যে, জাহরা তার তেলাওয়াত করা ছোট ছোট সুরাগুলো তার সাথে তেলাওয়াতের চেষ্টা করছে। মেয়ের এ আগ্রহ দেখে সে কুরআন তেলাওয়াত বাড়িয়ে দেন।

আর এভাবেই মাত্র ৩ বছর বয়সে কোন শিক্ষক ছাড়াই মায়ের কাছ থেকে শুনে শুনে জাহরা পবিত্র কুরআনের ৩৭টি সুরা মুখস্থ করে ফেলেছে।

এদিকে জাহরার কুরআন মুখস্থে তার মায়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। কারণ তার জন্মের আগে থেকে মায়ের নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত এবং জন্মের পর ঘুম লাগানোর সময় কুরআনের অবিরাম তেলাওয়াতই জাহরাকে কুরআনের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে।

আল্লাহ তাআলা এই ৩ বছরের ছোট্ট জাহরা হোসাইনকে কুরআনের পাখি হিসেবে কবুল করুন। আজ জাহরার মতো সব শিশুকেই কুরআনের আবহে বেড়ে ওঠার তাওফিক দান করুন।