যে ভাবে আসলো পোলার্ডের ৩১ বলে ৮৩ রান

গেইলের ৩৬ বলে ৬৩, লুকেশ রাহুলের ৬৪ বলে ১০০। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৭ রান পাঞ্জাবের। এই রানের জবাব দিতে নেমে ১১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭৬ রান ছিল মুম্বাই এর।

ব্যাটিংয়ে তখন পোলার্ড। ৬ বলে ৯ রান করে অপরাজিত। সাথে ইশান কিষান ৯ বলে ৬ রান করে আপরাজিত। শেষ ৯ ওভারে রানের পাহাড় টপকাতে হবে মুম্বাইকে। অনেকেই ধরে নিয়েছিল জয় পেতে যাচ্ছে পাঞ্জাব।

স্যাম কুরানের ১২তম ওভারে ১৮ রান আসলো। ২টি চার ও একটি ছক্কা মারলেন পোলার্ড। সেই যেন ঝড়ের শুরু। এরপর কেবলই বাউন্ডারির ঝড়।

১৪তম ওভারে অশ্বিন আসেন বোলিংয়ে। তার এই ওভারে আসে ১৯ রান। যার মধ্যে পোলার্ড ছক্কা মারেন দুটি। ১৪ ওভার শেষে মুম্বাই এর রান ১২৮। পোলার্ড তখন ১৫ বলে ৪০ রানে অপরাজিত।

এরপর ১৫তম ওভারে ভিজিওয়েন এবং ১৬তম ওভারে সামি এসে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে। ১৭ তম ওভার থেকে ফের তান্ডব শুরু পোলার্ডের। স্যাম কুরান আসেন বোলিংয়ে। তার এই ওভারে দুটি ছক্কাসহ আসে ১৪ রান।

১৮ তম ওভারে সামি এসে মাত্র ৮ রান দিলে ম্যাচ দুলতে থাকে দুদিকেই। শেষ ১২ বলে তখন ৩২ রান প্রয়োজন মুম্বাইর। বোলিংয়ে আসেন কুরান। তার এই ওভারে দুটি ছক্কা আর একটি চারে আসে ১৭ রান।

শেষ ৬ বলে প্রয়োজন হয় ১৫ রান। বোলিংয়ে আসেন রাজপুত। কিন্তু প্রথম বলটিই করেন নো বল। আর সেটাতে গিফট হিসেবে আসে ছক্কা। এরপর ফ্রি হিটে আসে আরেকটি চার। অর্থাৎ এক বলেই আসে ১১ রান।

পরের বলেই পোলার্ড ঝড় থামে। মাত্র ৩১ বলে ৮৩ রান করে আউট হন তিনি। শেষ চার বলে প্রয়োজন চার রান। তৃতীয় বলে কোন রান নিতে পারেনি আলজারি জোসেপ। চতুর্থ বলে নেন ১ রান। পঞ্চম বলে আসে এক রান। শেষ বলে প্রয়োজন ২ রান। শেষ পর্যন্ত শেষ বলে ২ রান নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন জোসেপ।