রাজধানীতে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ

আজ পাঁচ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে নীলক্ষেত মোড় অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এর জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে নীলক্ষেত এলাকায়।

আজ সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের সামনে থেকে মানববন্ধন শুরু করে আন্দোলনকারীরা, যা নীলক্ষেত ও সাইন্সল্যাবের পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।

এরপর সড়ক আটকিয়ে, গণহারে আর ফেল নয়, যথাযথ রেজাল্ট চাই, শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা নয়, গণহারে ফেল, ঢাবি তোমার খেল, বন্ধ করো অনাচার, সাত কলেজের আবদার, নিচ্ছো টাকা দিচ্ছ বাশ, সময় শেষে সর্বনাশ বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমু্ক্ত ফল প্রকাশ, একই বর্ষের সব বিভাগের ফল একত্রে প্রকাশ, গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতা পুনঃ মূল্যায়ন, সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন, প্রতিটি বিভাগে মাসে দুই দিন করে অধিভুক্ত সাত কলেজে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়া ও সেশন জট নিরসনের লক্ষ্যে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাবির অধিভুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ৯ মাস সাত কলেজের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তারপর মানববন্ধন, অনশন কর্মসূচি সর্বশেষ সিদ্দিকের (তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী) চোঁখের বিনিময়ে ঢাবি আমাদের কার্যক্রম ধীরগতিতে শুরু করে। প্রায় ২ বছর ২ মাস অতিবাহিত হলেও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কোনো সুফল ভোগ করতে পারছে না।

এ সময় আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, ঢাবি আমাদের যে মান অনুযায়ী পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে সেই মান অনুযায়ী ক্লাসে পড়ানো হয় না। এমনও বিষয় আছে পাঁচটির বেশি ক্লাস হয় না। নানা অজুহাতে ক্লাস বন্ধ থাকে।

এ সময় আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষকদের কাছে গেলে উনারা বলেন, ঢাবি তোমাদের সব কার্যক্রম করছে, আর ঢাবির প্রশাসনিক ভবনে গেলে বলে সাত কলেজের শিক্ষকরা সভা করে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এভাবেই শিক্ষাথীরা দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়।