শ্রীলঙ্কায় নিহতর সংখ্যা বেড়ে ২০৭, ৭ হামলাকারী আটক

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ দেশটির আটটি স্থানে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা দুইশ ছাড়িয়েছে। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এখন পর্যন্ত ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫শ’র বেশি মানুষ।

এদিকে দেশটির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান ভিজেভার্দানে বলছেন, ‘যারা দেশে হামলা চালিয়েছে, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে।’

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, কলম্বোর দেমাতাগোদা এলাকা থেকে দুজনসহ মোট ৭ সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

আজ ২১ এপ্রিল রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশে মোট আটটি বিস্ফোরণে তারা নিহত হন বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

দেশটির পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা এক সংবাদ সম্মেলনে ২০৭ জনের মৃত্যুর খরব নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোট ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৫০ জনের বেশি মানুষ।’

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুহান বিজয়াবর্ধনে বলেন, ‘বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’

তিনি আরও জানান, শ্রীলঙ্কায় রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত এ কারফিউ জারি থাকবে।

আজ সকালে এই দ্বীপরাষ্ট্রে একের পর এক বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির রাজধানী কলম্বো এবং শহরতলির তিনটি গির্জা ও দেশের বড় তিন হোটেলে এ হামলা হয়। পরে আরও দুই স্থানে হামলা হয়। আজ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টারের প্রার্থনা চলছিল।

এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্টের ভবন থেকে জানানো হয়, এ হামলার বিষয়ে তদন্তকাজের সুবিধার্থেই কারফিউ জারির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এক বৈঠকের পরই কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুহান বিজয়াবর্ধনে ছাড়াও জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ভয়াবহ বোমা হামলার পর ফেসবুক, টুইটারসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার।