সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানের দিন পুরো ঢাকায় চলাচলের জন্য ট্রাফিক প্ল্যান করবে ডিএমপি। মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখে মুখোশ পরা যাবে না; তবে হাতে রাখা যাবে। শোভাযাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেউ নতুন করে এরমধ্যে ঢুকতে পারবে না।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিরাপত্তা নিয়ে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবেশ এবং ত্যাগের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, নির্ধারিত সময় অনুসারে বিকাল ৫টার পর কেউ পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে পাবেন না এবং ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে হবে। এছাড়া অনুষ্ঠানের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বিশেষ স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলতে পারবে না।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে নববর্ষের অনুষ্ঠান নিরাপদ ও আনন্দময় করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল চারুকলা, রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রবীন্দ্র সরোবরের মতো জনসমাগমস্থলে বিশেষ নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিশেষ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে নববর্ষের অনুষ্ঠান নিরাপদ ও আনন্দময় করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল চারুকলা, রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রবীন্দ্র সরোবরের মতো জনসমাগমস্থলে বিশেষ নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও বিশেষ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো যাবে না বলেও জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটারের যেন কেউ অপব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে মনিটর্রিং করা হবে। ইভটিজিং করা যাবে না। এ বিষয়টি দেখার জন্য সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা থাকবেন। মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি বৈঠক আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা।