সেলফি তোলার কী আছে বুঝলাম না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খামাখা কিছু লোক অহেতুক ভিড় করে। এদের কারণে ফায়ার সার্ভিস ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এরা দাঁড়িয়ে থেকে সেলফি তোলে। এখানে সেলফি তোলার কী আছে বুঝলাম না। সেলফি না তুলে তারা কয়েক বালতি পানি আনলেই পারে।’

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় ভাষণকালে আগুনের সময় উৎসুক জনতার ভিড়ের সমালোচনা করে তিনিএ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘কয়েকদিন দিন আগে বহুতল ভবনে আগুন লেগেছে। বেশ কিছু লোক হতাহত হয়েছেন। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। কিছুদিন পরপরই আগুন। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা জানি চৈত্র-বৈশাখ মাসে আগুন লাগার প্রবণতা বেশি। একটা কথা বলব, উত্তেজিত লোক ফায়ার সার্ভিসের একটা গাড়িও ভেঙে দিয়েছে। একটি গাড়ি কিনতে ৯-১০ কোটি টাকা খরচ পড়ে। দেরি হচ্ছে কেন সেই জন্য ফায়ার সার্ভিসের লোকদের মারছে। সেটা না করে এক বালতি পানি এনে নেভানোর চেষ্টা করত তাহলে ভালো কাজ করতে।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় মিডিয়ারও ভূমিকা আছে। মিডিয়া যখন সরাসরি সম্প্রচার করে তখন মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। ভিড় বাড়ে। এই কারণে মিডিয়াকেও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা অল্প বয়সী ছেলে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে। অকারণে ভিড় করে। ফায়ার সার্ভিস যেতে পারে না। ছবি তোলে, সেলফি তোলে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করুক, উদ্ধার কাজ করুক। তা না করে সেলফি তোলে। আমি অবাক হয়ে যাই। এই ধরনের ঘটনায় কীভাবে সহায়তা করা যায়, সেটা না। পরে আমি আইজিপিকে বললাম, সবাইকে যেন আহ্বান করা হয়। তারা রাস্তা থেকে লোকজনকে যেন সরিয়ে দেয়। পরে তারা সেটা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটা সমস্যা হলো পানির সমস্যা। যদিও ওয়াসার পানি আছে, কোনো সমস্যা হলে ওয়াসার পানি পাওয়া যায়। এই যে গুলশান লেক। এটি এখণ যেমন আছে, এক সময় দ্বিগুণ ছিল। একেকজন ক্ষমতায় আছে, জিয়া ক্ষমতায় এলো, গুলশান লেক দখল করে ফেলল। এছাড়া ঢাকায় পুকুর ছিল সেগুলো নেই। অন্তত যারা বাড়ি করছেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে প্রত্যেকটা জায়গায় অন্তত একটা করে জলাধার যেন থাকে।’