‘এই মোস্তাফিজকে আমি চিনি না’

বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় একটি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথমটিতে উইন্ডিজদের পরাজিত করেছে বড় ব্যাবধানে। আর তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগী করে এগিয়ে রয়েছে বাংলদেশ দল। বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া পয়েন্ট ভাগ করে নিতে হল। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ পেস বোলিং বিভাগের সেরা অস্ত্র ধরা হয় মুস্তাফিজকে। অথচ এই ম্যাচে সবচেয়ে খরছে বোলার ছিলেন কাটার মোস্তাফিজ।

২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার, এরপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি মুস্তাফিজুর রহমানকে। নিজের জাত চিনিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। এরপর পাকিস্তান সুপার লিগের মত নামকরা ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। তবে বাইশ গজে বল হাতে এদানিংকালে ভালো যাচ্ছেন মোস্তাফিজের। উইকেটের দেখা মিলছেনা। বলে নেই সেই ধার।

চোট আর অফ ফর্মের কারণে কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড সফরে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১০ ওভার বল করে দিয়েছেন ৯৩ রান, আর সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে দুটো উইকেট পেতে খরচ করেছে ৮৪ রান। এই দুই ম্যাচে সর্বসাকুল্য ৫ উইকেট নিলেও ওভারপ্রতি ৮.৮৫ গড়ে দিয়েছেন ১৭৭ রান। যা কীনা একেবারেই বেমানান তার নামের পাশে।

ফলে ‘ফুরিয়ে গেছেন মুস্তাফিজ’ বা ‘এই মুস্তাফিজকে আমি চিনি না’! গত কয়েক মাস ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ দলের অনেক সমর্থমকই তোপ দাগছেন। আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাই মুস্তাফিজকে নিয়ে বেশ শঙ্কিত সর্থকেরা। অনেকেই আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিচ্ছেন দুয়ো, বলছেন ফুরিয়ে গেছে মুস্তাফিজ! তবে হেড কোচ স্টিভ রোডস বলছেন অন্য কথা, নিজে ঢাল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন প্রিয় শিষ্যর পাশে।

টাইগার কোচ স্টিভ রোডস মুস্তাফিজের প্রসঙ্গ তুলে জানিয়েছেন ফিজকে নিয়ে চিন্তার কিছু ঘটেনি। এখন শুধু তার গতিটা বাড়লেই আগের মতই ভয়ানক রূপে দেখা যাবে।

তিনি জানান, ‘মুস্তাফিজের বোলিং নিয়ে আমি একেবারেই চিন্তিত নই। ও সাদা বোলের জন্য দারুণ কার্যকরী বোলার। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, বিশ্বের সেরা পাঁচ বোলারের একজন ছিল ফিজ। বাংলাদেশের খুব বেশি বোলার অত দূর গেছে বলে শুনিনি।’

টাইগার কোচ বলেন, ‘আগের ম্যাচেও ওর কিছু বল প্রচণ্ড গতিতে জমা পড়েছে কিপারের গ্লাভসে। যদি গতিটা এমন বাড়াতে পারে, তবে আগের ফিজকেই দেখতে পাবেন।’