কৃষকরা ধানের আর্দ্রতা বোঝেন না : হুইপ আতিক

খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেছেন, কৃষকের ধানের লভ্যাংশ যাতে মধ্যস্বত্বভোগী না নিতে পারে সেজন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কৃষকের তালিকা তৈরি করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কৃষকরা ধানের আর্দ্রতা (শুকানো) বোঝেন না। তারা মনে করেন ১-২টা রোদ দিয়ে ধান শুকিয়ে বাজারে যেভাবে বিক্রি করছেন সেভাবে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করবেন। কিন্তু গুদামে সেভাবে ধান সংরক্ষণ করা যায় না। সেজন্য ধান সংগ্রহ গুদাম নির্মাণ করবে সরকার। ফলে কৃষকদের আর গুদাম থেকে ধান ফেরত নিতে হবে না।

শেরপুর সদর খাদ্যগুদামে সরকারিভাবে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে দেশে যেসব খাদ্যগুদাম রয়েছে সেখানে ‘ধান সংগ্রহ গুদাম’ নির্মাণ করবে সরকার। কৃষকদের যাতে খাদ্যগুদামে ধান নিয়ে এসে ফেরত যেতে না হয় সেজন্য এসব ধান সংগ্রহ গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

হুইপ আতিউর রহমান বলেন, সরকারিভাবে এক মণ ধানের দাম ১০৪০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তব সত্য হলো ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। দেড়-দুই মণ ধানের দামে একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। শেরপুরের চালের সারাদেশে সুনাম রয়েছে। আমাদের চালের গুণগতমান অনেক ভালো। বিদেশেও আমাদের চাল রফতানি হয়। এবারও আমাদের চালকল মালিকরা খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করে শেরপুর জেলার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবেন। এতে জেলায় খাদ্য বিভাগের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।