গুরুত্বপূর্ন জায়গায় সবার পেছনে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে রান হবে প্রচুর। দলগুলোকে জিততে হবে রানের পাহাড় তাড়া করে। এই কারণে ব্যাটসম্যানদের যত বেশি সম্ভব, কম বলে বেশি রান করতে হবে। এই জায়গাতেই পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।

আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের সাথে ইংল্যান্ডের পিচের তেমন কোন পার্থক্য নেই। সেখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২৭ রান করেছিল আয়ারল্যান্ড। সেটা আবার ১৩ বল বাকি থাকতে জিতে গেছে ক্যারিবিয়ানরা।

এদিকে দিনের আরেকটি ম্যাচে পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডের। সেখানে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং করে তুলেছিল ৩৭৩ রান। জবাবে পাকিস্তান করেছিল ৩৬১ রান। এই ম্যাচগুলোই বলে দেয় কেমন হবে এবারের বিশ্বকাপ।

স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যাচ্ছে সাফল্য পেতে হলে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে হবে। কিন্তু টাইগার ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেট দেখলে সেটা মেলানো কঠিন।

মুল ব্যাপার হল, এই ধরনের ম্যাচে জিততে গেলে বলের চেয়ে রান বেশি থাকা লাগে। ইংল্যান্ড যেমন এখন হর হামেশাই ৩০০+ রান করে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত তারাও নিয়মিতই করে ৩০০+ রান।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সাল থেকে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করতে গড়ে সবচেয়ে কম বল খেলেছে ইংলিশরাই। এ সময় সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে প্রতি সেঞ্চুরিতে গড়ে ৯০টি করে বল খেলেছে দলটি।

এখানেই পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এমনকি আফগানিস্তানও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ থেকে। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২টি সেঞ্চুরি পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতি সেঞ্চুরিতে গড়ে ১০৯টি করে বল খেলেছেন ব্যাটসম্যানেরা। বোঝাই যাচ্ছে, ইংল্যান্ডে বড় সংগ্রহ গড়তে কিংবা রানপাহাড় ডিঙোতে উন্নতিটা ঠিক কোথায় করতে হবে।