গৌতম গম্ভীর ক্রিকেটের জন্য বড় লজ্জা: আফ্রিদি

সাম্প্রতি বাজারে এসেছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির আত্মজীবনীমূলক বই ‘গেম চেঞ্জার’। এতে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা জানা-অজানা বিষয় তুলে ধরেছেন। আর আফ্রিদির আত্মজীবনীমূলক বইয়ে সেসব বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে এতে পাকিস্তানের ক্রিকেটে নতুন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।

নিজের আত্মজীবনীতে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন আফ্রিদি। আফ্রিদি-গম্ভীরের তিক্ত সম্পর্ক নিয়ে কম খবর হয়নি। একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগদে দেখা যায় প্রায়ই। এবার গম্ভীরকে ব্যক্তিত্বহীন বলতেও ছাড়েননি আফ্রিদি।

তিনি বলেন, ‘কিছু শত্রুতা ব্যক্তিগত, কিছু পেশাগত। গম্ভীরের ক্ষেত্রে বিষয়টা ব্যক্তিগত পর্যায়ের। গম্ভীর খুবই দাম্ভিক। তার মানসিকতায় সমস্যা আছে। তার কোনও ব্যক্তিত্ব নেই। সে এমন একটা বিরল চরিত্র যাকে ক্রিকেটের বড় লজ্জা বলা যায়। তার আহামরি কোনো রেকর্ড নেই। পুরোটাই দম্ভ।’

গম্ভীরকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন আফ্রিদি বলেন, ‘গম্ভীর এমন আচরণ করে, যেন সে ডন ব্র্যাডম্যান ও জেমস বন্ডের মিলিত কিছু। করাচিতে এরকম লোকেদের আমরা সরিয়াল বলি। সহজ ব্যাপার, আমি খুশি ও ইতিবাচক মানুষদের পছন্দ করি। তারা আগ্রাসী ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ হলেও সমস্যা নেই। আপনাকে ইতিবাচক হতে হবে। গম্ভীর ইতিবাচক নয়, সবটাই নেগেটিভ।’

আফ্রিদি তার আত্মজীবনীতে নিজের প্রকৃত জন্ম সাল উল্লেখ করে লিখেছেন, তার জন্ম ক্রিকইনফো বা অন্যান্য তথ্য-উপাত্তে উল্লেখ করা ১৯৮০ সালে নয়, ১৯৭৫ সালে। সে হিসেবে তার বর্তমান বয়স ৩৯ নয়, ৪৪।

এদিকে, ১৯৯৬ সালে নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩৭ বলে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিটি ১৬ বছর বয়সে হাঁকাননি আফ্রিদি। তখন তার প্রকৃত বয়স হওয়ার কথা ২১। কিন্তু এ ব্যাপারে আফ্রিদির লেখাতে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। কেননা ১৯৭৫ সালে জন্ম নিয়েও ১৯৯৬ সালে তার বয়স ছিল নাকি ১৯!

বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ষোলো নয়, তখন (১৯৯৬ সালে) আমার বয়স ছিল ১৯। আমার জন্ম ১৯৭৫ সালে। হ্যাঁ, কর্তৃপক্ষ আমার বয়স ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।’