ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ভয়ঙ্কর রূপ ধারণে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

বর্তমানে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এরই মধ্যে সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে।

তাছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে উপকূল থেকে দূরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী ভয়ঙ্কর আকারে রূপ নিয়েছে। দ্রুত গতিতে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। এটি মূলত ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানবে, তবে বাংলাদেশেও এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। আগামী শনিবার (৪ মে) বা রবিবার (৫ মে) ফণী আঘাত হানতে পারে।

অন্যদিকে আরও শক্তি সঞ্চয় করে ভারতের চার রাজ্যে আছড়ে পড়ার জন্য তৈরি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণী। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। এর জন্য চার রাজ্যে জারি করা হলো সতর্কতা।

এদিকে সতর্কতা জারি করা এলাকাগুলো হলো-ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে এসব রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আগামী ৩ মে ওড়িশায় আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।

এ ব্যাপারে ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বুধবার বিকেলে ফনি উত্তরপশ্চিম দিকে সরে যেতে পারে। পরে সেটি গোপালপুর ও চান্দবালি পার করে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরী এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

এ ঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কুরদা, কটক, ঢেঙ্গানাল, জয়পুর ও ময়ূরভঞ্জ জেলা। ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, এর প্রভাবে আগামীকাল ২ মে থেকে উপকূলবর্তি অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম ও বিজয়নগরমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হতে পারে। কোথাও মাঝারি, কোথাও প্রবল বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশায়। এ ছাড়াও ৩ ও ৪ মে উপকূলবর্তি অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে হবে ঝড়ও।