ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হেনেছে ঢাকা অঞ্চলে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে এসেছে। এরই মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পাশ্ববর্তী এলাকায় আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। এটি বাংলাদেশে ৬ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারে। এর পর এটি আবারও ভারতে প্রবেশ করবে। বাংলাদেশে অবস্থানের সময় এটির গতিবেগ থাকবে ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ‘ফণী’র প্রভাবে আজ শনিবার (৪ মে) সারাদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

শনিবার (৪ মে) সকালে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটারে পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এর ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে। আর এসব অঞ্চলের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া কক্সবাজার সমূদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এখন বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের স্থলভাগে (চুয়াডাঙা, রাজবাড়ি, মানিকগঞ্জ, ঢাকা অঞ্চলে) অবস্থান করছে। এটি আরো ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক হয়ে ভারতের আসাম মেঘালয়ে প্রবেশ করবে। ফণীর গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রবিবার (৫ মে) বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে অনুরোধ করেছে।