ত্রিদেশীয় সিরিজে গতকাল আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৮ উইকেট এবং ৩০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়।
ক্যারিবীয়দের ২৬২ রানের লড়াকু টার্গেটকে মামুলি করে তুলেছেন। তামিম ইকবাল (৮০), সৌম্য সরকার (৭৩), সাকিব আল হাসান (৬১) এবং মুশফিকুর রহীমের ৩২ রানে সহজে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
তবে এই সিরিজের আগে একজনকে নিয়ে ছিল বিতর্ক। কেননা তাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তিনি কেন এটা করলেন, কেন ওটা করলেন। কারও কারও তো এমন বলতেও মুখ আটকায় না-সাকিব আল হাসান খেলেন নিজের জন্য, দেশের জন্য নয়। তবে সবকিছুর জবাব বরাবরই পারফরম্যান্সে দিয়ে থাকেন। এবারও সমালোচকদের মুখ বন্ধ রেখেছেন সাকিব। দেশের হয়ে নামলে পেছনের কিছুই যেন তার মনে থাকে না, নিজেকে উজার করে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এবার ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ড খেলতে যাবার আগেও আইপিএল খেলে দেশে ফিরলেও বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে ছিলেন না তিনি। যেটি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেই সাকিব বুঝিয়ে দিলেন, দেশের জার্সিটা গায়ে চাপালে কোনো কথাই গায়ে লাগে না তার।
মঙ্গলবার বল হাতে নিয়ন্ত্রিত সাকিব, ব্যাট হাতে উজ্জ্বল, ফিল্ডিংয়ে তো বাজপাখির মতো এক ক্যাচ নিলেন। সবমিলিয়ে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত এক সাকিবকে দেখা গেল।
তাইতো সংবাদ সম্মেলনে আসা সৌম্য সরকারও বললেন, সাকিব-মিরাজের বোলিং জুটিটাই ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘তাকে (সাকিব) নিয়ে আমরা কখনই সংশয় রাখি না। আমরা জানি না, বাইরের মানুষ কি বলে। তার উপর সবসময়ই অনেক আস্থা আমাদের এবং তিনি সেটার প্রতিদানও দিয়ে থাকেন।’
সৌম্য সরকার বলেন, ‘শুরুতে তিনি (মাশরাফি) বেশ সুইং পেয়েছে, তবে তখন উইকেট পাননি। পরে যখন দিন কিছুটা অন্ধকার হয়ে এলো, ঠান্ডা বাড়লো, তখনও তিনি সুইং আদায় করে নেন। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নেয়াটা আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সাকিব ভাই এবং মিরাজ জুটি গড়ে দারুণ বোলিং করেছেন, যেটা আমাদের পক্ষে নিয়ে আসে ম্যাচটা।’
এদিন সাকিব ১০ ওভার বল করে ১ উইকেট পেলেও খরচা করেন মাত্র ৩৩ রান। ফিল্ডিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে নেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ। এরপর রান তাড়ায় নেমে ব্যাট হাতে ৬১ বলে খেলেন ৬১ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
