মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ফলাফলে এবার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে দাখিলে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ ও কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ২৩ শতাংশ।
এদিকে, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। তবে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এগিয়ে ছেলেরা।
সোমবার (৬ মে) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
প্রাপ্ত ফলাফলের তথ্য মতে, এবার মাধ্যমিকে ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার বেশি ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫২ হাজার ১১০ জন ছাত্র। অপরদিকে ৫৩ হাজার ৪৮৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। অর্থাৎ ছাত্রদের তুলনায় জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে এক হাজার ৩৭৪ জন ছাত্রী।
অবশ্য এবার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ জন ও ছাত্রী ১০ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৮ জন। ৯ হাজার ২৩৯ জন ছাত্র বেশি অংশগ্রহণ করে। কিন্তু আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে অংশগ্রহণে ও পাসের হারে এগিয়ে আছে মেয়েরা।
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আটটি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ৫২ হাজার ৬৯২ জন বেশি ছাত্রী অংশ নেয়। ছাত্রদের তুলনায় ৫৬ হাজার ৬৩৩ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে। ছেলেদের তুলনায় এক দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি মেয়ে পাস করেছে।
তিনি জানান, এবার আট বোর্ডে ৮ লাখ ২০ হাজার ৯৮০ জন ছাত্র অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৬২ জন। ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭২ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৫ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ০১ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। অপরদিকে, আট বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও মেয়েরা এগিয়ে। মেয়েরা ২ হাজার ৩২৫ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছাত্ররা ১৩ হাজার ৬৮১ জন ও ছাত্রীরা ১৬ হাজার ৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
মাধ্যমিকের পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ বেশি। এ ক্ষেত্রে পাসের হার ছেলেদের ৮২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ও মেয়েদের ৮৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। আর কারিগরি বোর্ডে ছেলেদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৯২ শতাংশ ও মেয়েদের ৭৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।
