ফণীর পর এবার ৮ মাত্রায় ভূমিকম্পের আভাস

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে, দেশের এমন সব অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। পুরো দেশে ফণী মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

এদিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকা, বরগুনার বেতাগী উপজেলা, সাতক্ষীরা, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ করা হয়েছে খাবার।

তবে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে ভারতে। সেখানকার চারটি রাজ্যে ফণীর ছোবল পড়তে পারে। এ নিয়ে ইতোমধ্যেই জারি হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই মধ্যে জানানো হয়েছে, প্রবল ভূমিকম্পও আঘাত হানতে পারে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের মতো ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয় ডিট্রিয়ানাম নামে একটি সংস্থা। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান খতিয়ে দেখে তাদের দাবি, শুক্রবার প্রবল ভূমিকম্প হতে পারে।

এ ব্যাপারে ডিট্রিয়ানাম জানিয়েছে, বুধ, শুক্র ও নেপচুন একই সরল রেখায় অবস্থান করছে। ওদিকে পৃথিবী, চাঁদ ও নেপচুন। আর এর ফলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে হতে পারে প্রবল ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা হতে পারে ৮। এই একই অবস্থানে ১৯০৬ সালে ভূমিকম্প হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকায়।

এর আগে গত ১৯০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। এরপর গত ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল সুমাত্রার উপকূলে দুটি ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৮।