বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পাশ্ববর্তী এলাকায় আঘাত হানে। শনিবার সকালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর বর্তমানে উত্তরবঙ্গে অবস্থান করছেন। ঘূর্ণিঝড়টি নাটারের সিংড়া ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় অবস্থান করছিল। এরপর তা আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে নাটোরের চলনবিলে এলাকায় প্রবেশ করে। যেহেতু এটি বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তার যাত্রাপথে যেসব এলাকা পড়বে সেখানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। তার সঙ্গে ভারী বর্ষণও হতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ।
এদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়, বজ্রপাতে ও বিদ্যুস্পৃষ্ট হয়ে সারাদেশে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ১২টা থেকে শনিবার (৪ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ, বাগেরহাট, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরগুনা, নোয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর ও পটুয়াখালীতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার (৪ মে) সকাল ৬টার দিকে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে প্রবেশ করলেও শুক্রবার (৩ মে) সকাল থেকেই এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশে।
যে কারণে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বজ্রপাত ও ঝড়ে গাছ পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়। এরপর শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরো সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে জারি করা বিপদ সংকেত নামিয়ে সতর্কতা সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোংলা, পায়রা, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলে বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।