বিশ্বকাপে অলরাউন্ডার হিসেবে মাঠ মাতাবেন যারা

আর মাত্র ৩ দিন বাকি। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপের বাকি দলগুলো ব্যস্ত প্রস্তুতি ম্যাচে। সব দলগুলোই চাইছে এই ম্যাচের মাধ্যমে নিজেদের সঠিক কাঠামো বের করে আনতে। কোথায় দলের দুর্বলতা, কোথায় শক্তি তা এই প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়েই অনেকটা বোঝা যাবে। প্রতিটি দলেই সেরা ব্যাটসম্যান ও সেরা বোলারের বাইরেও বড় এক ভূমিকা রাখেন দলের অলরাউন্ডাররা।

এ তালিকায় বাংলাদেশের রয়েছে তিন-থেকে চার জন। যারা যেকোন সময় ম্যাচের মোর ঘুড়িয়ে দিতে পারে।আর প্রতিপক্ষের দেওয়া বড় স্কোর সংগ্রহে যেমন অলরাউন্ডারের ব্যাট কথা বলে তেমনি প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের রান আটকাতেও সহায়তা করেন।

এবারের বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর অলরাউন্ডার হিসবে আছেন যারা:

বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো হয়তো বাংলাদেশ এখনো বড় আসরে চমকে দিতে পারেনি, কিন্তু তাদের এখন আর সহজ ভাবার কিছু নেই। ওয়ানডে ফরম্যাটে এক নম্বর অলরাউন্ডার হয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তরুণ মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাদের অফস্পিন ও মিডিয়াম পেস দলকে বাড়তি সুবিধা দেয়। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলের জন্য বিশ্বস্ত হয়ে উঠছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

পাকিস্তান: এবারে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার আছেন। ইমাদ ওয়াসিম সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন। তিনি একজন হার্ড হিটারের পাশাপাশি কার্যকর বাঁহাতি স্পিনার। এছাড়া মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, হারিস সোহেল ভালো ব্যাট চালালেও বল হাতে তেমন কার্যকর নন। পাকিস্তানের সব অলরাউন্ডাররাই কাছাকাছি পারফরম্যান্স করেন দলের জন্য।

আফগানিস্তান: এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও রহমত শাহের মতো অলরাউন্ডার রয়েছে। এছাড়াও রহমত শাহও ব্যাট হাতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন, লেগ স্পিনেও নজর কেড়েছেন। অবশ্যই বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও তাদের খেলার অভিজ্ঞতা কম। তাই নিজেদের প্রমাণের সেরা সময় এটিই।

শ্রীলঙ্কা: শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও থিসারা পেরেরা। এ ছাড়াও আছেন জীবন মেন্ডিস।

অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে বলার মতো অলরাউন্ডার আছেন কেবল দুজন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মারকাস স্টোইনিসকেই এগিয়ে রাখা যায়। বোলার-ব্যাটসম্যানে ভরপুর দলটির জন্য এ দু’জন অলরাউন্ডারই যথেষ্ট।

দক্ষিণ আফ্রিকা: খুব বেশি চোখে না পড়লেও দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডাররা দলে বেশ ভালো প্রভাব ফেলেন। আন্দিল ফেহলুকাও শেষের দিকের ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বল হাতেও বেশ দক্ষ ও উইকেট শিকারি। এছাড়া জেপি ডুমিনি ও ক্রিস মরিস এই বিশ্বকাপ তার জন্য সেরা অপশন হতে পারে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: উইন্ডিজ দলে বেশ কিছু অলরাউন্ডার আছেন। তবে তারা সবাই টি-টোয়েন্টিতে পরীক্ষিত। আন্দ্রে রাসেল, অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তিন অলরাউন্ডারই এক সঙ্গে জ্বলে উঠলে প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ংকর হতে পারেন।

নিউজিল্যান্ড: নিউজিল্যান্ডে বেশ শক্তিশালী কয়েকজন অলরাউন্ডার রয়েছেন। মিচেল স্যান্টনার, জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্রান্ডহোম, কলিন মুনরোর মতো পারফরম্যান্স দেখানো অলরাউন্ডার রয়েছে দলটিতে। যারা যেকোনো সময়ই দলের জন্য জ্বলে উঠতে পারেন ব্যাট অথবা বল হাতে।

ভারত: ভারত দলে আছেন তারকা পর্যায়ের কিছু অলরাউন্ডার। হার্দিক পান্ডিয়া। বল ও ব্যাট হাতে সমান তালে পারফরম্যান্স করে চলছেন তিনি। কেদার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, বিজয় শংকরের মতো অলরাউন্ডার যেকোনো দলের জন্য আশীর্বাদই বটে।

ইংল্যান্ড: শুধুমাত্র স্বাগতিক বলেই না, অলরাউন্ডারের দিক দিয়েও ইংল্যান্ড এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আলোচিত। দলটিতে আছেন বেন স্টোকস, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, লিয়াম ডসন, টম কুরানের মতো কার্যকর ও তারকা অলরাউন্ডার।