যেসময় ইফতার করা নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাহ

চলছে পবিত্র মাহে রমজান। সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারি। তবে কোন মসজিদের আজান শুনে ইফতারি করতে হবে? নিজের মসজিদের নাকি অন্য মসজিদের বা ইফতারির সময় দেখে? এ ব্যাপারে একটি জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানে জানতে চেয়েছেন এক নারী। এ প্রসঙ্গে উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, ইফতারের জন্য আজান শোনা শর্ত নয়। ইফতারের জন্য রাসুল (সা.) বলেছেন যে, ‘যখন সূর্য অস্ত যাবে আর রাত পশ্চিম দিক থেকে আগমন করবে এবং দিবস প্রস্থান করবে, তখন রোজাদার ব্যক্তি সিয়াম ভঙ্গ করবে, ইফতার করবে।’ ‍সুতরাং, সূর্যাস্ত যদি নিশ্চিত হয়ে যায়, তাহলে ইফতার করা আপনার জন্য ওয়াজিব।

ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ বলেন, তবে আপনি যদি মসজিদে আজান শোনার জন্য অপেক্ষা করেন, সেই মসজিদের আজান যদি সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে, তাহলে সেটাকে অনুসরণ করতে পারেন, জায়েজ রয়েছে। কিন্তু, আপনি যদি নিশ্চিত হন যে, মসজিদের আজান দেয় পাঁচ মিনিট দেরি করে অথবা ইমাম, মোয়াজ্জিম যাঁরা আছেন তাঁরা ইফতার করে তারপর আজান দিয়ে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে আপনি আজানের জন্য অপেক্ষা করবেন না, সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করবেন এবং সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করাটিই হলো নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাহ। আর দেরি করে ইফতার করা হলো সুন্নাহর পরিপন্থী কাজ।