সাকিব দলের সঙ্গে না যাওয়ার কারণ জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী

আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন স্বাগতিকদের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ মিলে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। আর যেটি শুরু হবে আগামী ৫ মে থেকে। এ লক্ষ্যে (বুধবার) ১ মে সকাল সাড়ে ১০টায় ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপ খেলার জন্য ডাবলিনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দল।

আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হবে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। এই লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের প্রাথমিক গন্তব্য আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন। সেখানে ত্রিদেশীয় এক সিরিজে অংশ নিবে মাশরাফি বাহিনী। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে সাকিব-তামিমরা।

তামিম-মাশরাফিদের বহন করে এমিরেটসের ঢাকা-দুবাই ফ্লাইট। এরপর দুবাইতে নেয়া হবে দুই ঘণ্টার যাত্রাবিরতি। সেখান থেকে সরাসরি আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে চলে যাবে বাংলাদেশ টিম। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে দলের ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডে থাকা সবাই এবং কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজম্যান্ট একসঙ্গেই উড়াল দিয়েছেন। ডাবলিনে পৌঁছে শুক্র ও শনিবার নিজেদের মতো অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। তবে দলের সাথে একই ফ্লাইটে যাবেন না সাকিব আল হাসান। সাম্প্রতিক সময়ে সাকিব আছেন সমালোচকদের মুখে মুখে। গত ২২ এপ্রিল শুরু হওয়া দলের ক্যাম্পে যোগ না দেয়া বা দলের ফটোসেশনে অংশ নিতে না পারায় সমালোচনার প্রধান ইস্যু।

৫ মে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বসে থাকবে না টাইগাররাও। তারা ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর দিনে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ৭ মে ক্লন্টার্ফে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের ত্রিদেশীয় সিরিজের মিশন।

এদিকে, সাকিব আল হাসান যাবেন বৃহঃস্পতিবার প্রথম প্রহরে রাত দেড় টায়। একসাথে টিকেট পাওয়া না যাওয়াতেই এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের পরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মুলত, দলকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসে সাকিবপত্নী ও শিশুকন্যার জন্য আসন না থাকায় সাকিব একা যাচ্ছেন।

এবিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ দলের সবার সঙ্গে সাকিবের জন্যও টিকিট করা হয়েছিল। কিন্তু ও পরিবার নিয়ে যেতে চাচ্ছে বলেই আলাদা এয়ারলাইনস খুঁজতে হয়েছে।

তিনি জানান, একটি পিএনআর দিয়ে সবার টিকিট করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সাকিবের টিকিট বাতিল করতে হলে পিএনআর বাতিল করে নতুন করে টিকিট কাটতে হতো। তাতে সবার টিকিট একসঙ্গে না পাওয়ার ঝুঁকি ছিল। তাই ওর টিকিট আর বাতিল করা হয়নি।