১০৭ প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল

মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ফলফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদরাসা বোর্ডে দাখিলে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৩ ও কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ২৩ শতাংশ।

সোমবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন। প্রথা অনুযায়ী, আগে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেওয়া হতো। এরপর শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত জানাতেন। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফরে থাকায় তা হলো না।

এবারের পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। এর মধ্যে এসএসসিতে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, মাদ্রাসায় ৮৩ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং কারিগরিতে ৭২ দশমিক ২৪। এবার জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র।

এদিকে, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুটি কমেছে। একই সঙ্গে শতভাগ পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক হাজার ৯টি বেড়েছে। এবার ১০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি, গত বছর শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১০৯টি। এবারও আট বোর্ডের মধ্যে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রাজশাহী বোর্ডে সর্বোচ্চ। এ বোর্ডের শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৩১টি। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যশোর বোর্ডে। এ বোর্ডের ২৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বোর্ডে কোনো শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকলেও রাজশাহী, যশোর ও দিনাজপুর বোর্ডে একটি করে প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পরেনি। বরিশাল বোর্ডে দুটি শূন্যপাস বিদ্যালয় রয়েছে। মাদরাসা বোর্ডের ৫৯টি ও কারিগরি বোর্ডের ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করতে পারেনি।