১৭০ কি.মি. বেগের ধেয়ে আসছে ‘ফণী’, সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যা ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে এটি এখন এগুচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলে। কিন্তু কখনও কখনও এই বেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ‘আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।’

এদিকে এটি ক্রমে উপকূলের দিয়ে ধেয়ে আসায় প্রতিকূল আবহাওয়ার শঙ্কায় সারা দেশে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।

একইসঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিআইডাব্লিউটিএ-এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত দেশের সকল রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসায় সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোংলা, পায়রায় ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তাছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে, যা পরে বাড়ানো হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আফতাব উদ্দীন জানিয়েছেন।

এই ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার ভারতের পুরীর কাছে গোপালপুর ও চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এরপর সন্ধ্যার দিকে ফণী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পৌঁছাতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

বাংলাদেশে এখনও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন একটা দেখা না গেলেও শুক্রবার সকাল থেকেই ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে দেখা যেতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি এখন চট্টগ্রাম থেকে ১০৬৫ কিলোমিটার, পায়রা থেকে ৯২৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, রংপুর হয়ে দিনাজপুরের দিকে যেতে পারে।