নির্বাচন স্থগিত চাইলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী

আজ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৫ম ও শেষ ধাপে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার ৪৬টি ভোটকেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। কোন ধরণের বিরতি ছাড়া চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এদিকে, রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা নির্বাচন স্থগিত চেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম। ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে না দেয়া, রাতে ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত চান।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে একটি কুচক্রী মহল। তার প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীকে মারধর ও কয়েকজনের হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার তার প্রধান সমর্থক মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়।

কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ নির্বাচন, কিন্তু এখনো নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক সন্ত্রাসী স্বশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে। রাতে আমার সমর্থক ও এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা হয়েছে। কেন্দ্রে কেউ ভোট দিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

কালুখালীতে চেয়ারম্যান পদে কাজী সাইফুল ইসলামের নৌকা প্রতীকের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দকী হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৯ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪৬টি।