উজ্জ্বল রায়, (নড়াইল) প্রতিনিধি: বরিবার (৩০ জুন) নড়াইলের নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা গ্রামের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক সৈয়দ মিজানুর রহমানের বসতঘরের মেঝেতে এক জোড়া বিষধর গোখরা সাপ অন্তত ৫০টি বাচ্চা ফুটিয়ে ছিলেন। বাচ্চাগুলি বেশ বড় হয়ে উঠেছিলো। বাড়ির মালিক টের পাওয়ার পর গতকাল ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে একে একে সব সাপ মারা হয়েছে।
এসময় বেশ কিছু সাপের ডিম ধ্বংস করা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষক সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, বাড়ির উঠানে একটি গোখরা সাপের বাচ্চাকে মুরগি ঠোকাচ্ছিলেন। সাপের বাচ্চা দেখে তখন সন্দেহ হয় যে, ঘরের কোথাও সাপে বাচ্চা ফুটিয়েছে। সেই ধারণা থেকে প্রতিবেশিদের সঙ্গে নিয়ে ঘরের মেঝে খোঁচা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাপের আস্তানারা সন্ধান মেলে। সাপের আসান্তার সন্ধান পাওয়ার পর ৭ফুট লম্বা একটি বড় গোখরা সাপ (মা সাপ) ফুসিয়ে ওঠে। তখন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাপটি মারা সম্ভব হয়। এসময় গর্তের মধ্যে থাকা অসংখ্য সাপ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০টি সাপ মারা হয়েছে।
প্রতিবেশি নড়াইলের সরুশুনা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাজীব হোসাইন জানান, ‘সাপের সন্ধানের খবর শুনে আমরাও স্কুলের শিক্ষক সৈয়দ সৈয়দ মিজানুর রহমানের বাড়িতে ছুটে যাই। তখন আমরাও সাপ মারতে শুরু করি। একটি মা সাপ যার দৈর্ঘ্য হবে কমপক্ষে ৭ফুট। এছাড়া দেড় থেকে দুই ফুট আকৃতির অন্তত ৪৫-৫০টি বাচ্চা সাপ মারা হয়। এছাড়া অনেকগুলি সাপের ডিম ধ্বংস করা হয়। এসব ডিম থেকে কয়েকদিনের মধ্যেই বাচ্চা ফুটে বের হতো।’