আনপ্রিডেক্টেবল দল হিসেবে আরেকবার প্রমাণ দিল পাকিস্তান

পাকিস্তানকে বলা হয় আনপ্রিডেক্টেবল দল। কখন কি করে বোঝা মুশকিল। ৩০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা শুভ হয়নি পাকিস্তানের। দলীয় ২ রানে প্যাট কামিন্সের বলে থার্ড ম্যানে কেন রিচার্ডসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফখর জামান। এরপর আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজায় অস্ট্রেলিয়া। এ অবস্থায় বাবর আজমকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন ইমাম উল হক। ভালোই খেলছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। কোল্টার নাইলের শিকার হয়ে হয়ে ফেরেন বাবর।

৩০ রানে বাবর আজম ফিরে গেলে চাপে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু চাপ থেকে মুক্ত করেন ওপানের ইমাম-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজ। ১৩৫ রানে কোন উইকেট পড়েনি। তবে ১৩৬ রানে যেন ছন্দ পতন হয় পাকিস্তানের।

এরপর আসা যাওয়ার মধ্যে থাকে তারা। অধিনায়ক কিছুটা প্রতিরোধ করলেও কোন লাভ হয়নি। শেষ দিকে হাসান আলি ও ওয়াহব রিয়াজ অনেক চেস্টা করেন দলকে জেতাতে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে ৪৫.৪ ওভারে ২৬৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

আর এতে ৪১ রানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আমিরের বোলিং তোপে কোন রান নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে পড়ে ওভারের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। চার হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেন। এরপরই পাকিস্তানি বোলাদের ওপর তাণ্ডব চালানো শুরু হয়। পাকিস্তানি বোলাদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ৬৩ বলে ৬ টি চার ও ১ ছক্কায় তুলে নেন অর্ধশতক।

এরপর অর্ধশতক তুলে নিলেন ওয়ার্নার। ৫১ বলে ছয়টি চারে সাহায্যে তিনি অর্ধশতক হাঁকান। এরপরই তাণ্ডব চালানো অ্যারন ফিঞ্চকে ফেরালেন আমির। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে হাফিজের হাতে ধরা পরেন। তবে যাওয়া আগে ৮৪ বলে ৬টি ছয় ও ৬টি চারের সাহায্যে ৮২ রান করেন।

ফিঞ্চ বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ঝলে ওঠার আগেরই তাকে ফিরিয়ে দিলন হাফিজ। ১৩ বলে ১০ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে এসেই তাণ্ডব চালানো শুরু করে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে তাকে সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি। ১০ বলে ১ ছয় ও ২ চারে ২০ রান করেন।

তবে তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ওয়ার্নার। ১০২ বলে ১১ টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের আরেকটি মাইলফলকে স্পর্শ করল তিনি। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। শাহিন আফ্রিদি এক স্লো ডেলিভারিতে ইমাম-উল-হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। যাওয়া আগে ১১১ বলে ১০৭ রান করেন তিনি।

এরপর ক্রিজে আসেন উসমান খাজা। ওপেনার খাজাকে নামনো হয়েছে ৬ নম্বরে। ৬ নম্বরে ১৬ বলে তিনটি চার হাঁকিয়ে আমির বলে রিয়াজের হাতে ধরা পড়ে ফিরে যান। আবারো আমিরের আঘাত। ২৬ বলে ২৩ রানে ফিরে যান শন মার্শ। শন মার্শের পর ওয়াহাব রিয়াজ বলে ৩ বলে ২ রান ফিরে যান নাথান কোল্টার-নাইল। এরপর উইকেটে দেখা পেলেন হাসান আলী। প্যাট কামিন্সকে রানে ফিরিয়ে দেন তিনি।

শেষের দিকে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে বিশাল রানের টার্গেট পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে আমিরে বলে ২০ বলে ২ চার হাঁকিয়ে ২০ রান করে তিনি। এরপর আবারো আমিরের আঘাতে সবকটি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ৩০৭ রান।