আমাকে ছয়টা মাস রাখলে, বাংলাটা আরও ভালোভাবে শিখে ফেলতাম: স্টিভ রোডস

প্রতি মাসে ২৩ হাজার ডলার বেতনে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সাথে চুক্তি করেছিল বিসিবি। আর এই কোচকে খুঁজতেই পিটার কারস্টেনকে দায়িত্ব দিয়ে ৩০ হাজার ডলার খরচ করা হয়েছিল। তবে টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নাও থাকতে পারেন রোডস। চলতি বিশ্বকাপ শেষেও ইতি টানতে হতে পারে তাকে।

অতিরিক্ত ভালোমানুষিই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুপচাপ স্বভাবের এই কোচের অধীনে বাংলাদেশ দারুণ সফল হলেও নানান অভিযোগে চাকরি হারাতে বসেছেন স্টিভ রোডস। শ্রীলঙ্কান হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর ২০১৮ সালের জুনে বাংলাদেশের কোচিংয়ের দায়িত্ব পান স্টিভ রোডস।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ছাড়তে হতে পারে রোডসকে। চুপচাপ স্বভাবের হওয়ায় ক্রিকেটারদের ওপর খুব একটা কর্তৃত্ব গড়ে তুলতে পারেননি রোডস। এমনকি দলের সব খেলোয়াড়ও নাকি তাকে মান্য করছেন না।

অভিযোগ আছে ইংলিশ কোচের নেতৃত্বগুণ নিয়েও। তিনি টিম মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের গেমপ্ল্যান বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বরাবরই ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন। যেই কাজটা প্রধান কোচের করার কথা, সেই গেমপ্ল্যান বুঝানোর কাজটা এখন করে থাকেন টাইগারদের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর।

যখন ম্যাচ চলে তখন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মাঠের ক্রিকেটারদের কাছে প্রয়োজনীয় বার্তা পাঠানোর ব্যাপারেও রোডসের দুর্বলতা উঠে এসেছে। আবার অনেকের মতে, খেলোয়াড়ি জীবনে উইকেটরক্ষক থাকা রোডস কাউন্টি ক্রিকেটের কোচ হিসেবে সফল হলেও, জাতীয় দলের কোচ হওয়ার যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে তার।

এদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড়ও কোচের এইসব সীমাবদ্ধতা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তাইতো কোচের ব্যাপারে ভেবে দেখছে বিসিবি।

এরই মধ্য বিষয়টি গুঞ্জন রোডসের কানেও পৌছে গিয়েছে। তাইতো গত রোববার (২৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।

স্টিভ রোডস বলেছিলেন, ‘আমাকে আর ছয় মাস রাখলে, আমি বাংলাটা আরও ভালোভাবে শিখে ফেলতাম।’