এটা ছাড়া সেমিফাইনালে উঠার আর কোন রাস্তা খোলা নেই বাংলাদেশের

গতকাল মঙ্গলবার ব্রিস্টলের বৃষ্টির সাথে পেরে উঠেনি বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রকৃতি বিড়ম্বনায় টসও হয়নি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়। এমতাবস্থায় ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে বাকি পাঁচটি ম্যাচে জেতা দরকার টাইগারদের। না হলে সব আশা-ভরসা একেবারে ভেস্তে যাবে বাংলাদেশের।

এদিকে একটু অন্যভাবে দেখলে এই মূহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড আগামী কয়েকটা ম্যাচ হারলে কিছুটা লাভ রয়েছে বাংলাদেশের জন্য। সেই সাথে অস্ট্রেলিয়ার হারটাও প্রত্যাশা বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। কারণ এ দলগুলো যদি পয়েন্টে টেবিলে এদিক-সেদিক নড়েচড়ে না বসে তাহলে ভালোই সমস্যা হবে বাংলাদেশের।

তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটা ম্যাচ হার অবশ্যক। সেই সাথে ভারত ও ইংল্যান্ড যাতে আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারে।

আর এই দলগুলোর হার প্রার্থনা অথবা বিজয় ছাড়া টাইগারদের সামনে আর কোন রাস্তা খোলা নেই। টাইগার ভক্তদেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। সেটা হলো, বড় দলগুলোর হার প্রার্থনা করা।

এদিকে কাগজে কলমে আফগানদের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা নেই। টানা তিন ম্যাচ হেরে সেই একই পথে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। শ্রীলংকা তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট পেলেও শক্তিমত্তার বিচারে তাদের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা কম।

তাছাড়া ভারত-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ড যদি এই ‘দুর্বল’ দলগুলোর বিপক্ষে হেরে যায় আর বাংলাদেশ যদি টানা কয়েকটি ম্যাচ জেতে সেক্ষেত্রে কিন্তু শেষ চারে ওঠার ভালো সম্ভাবনা থাকবে। আর বৃষ্টি যদি শিরোপা প্রত্যাশী দলগুলোর ম্যাচেও হানা দেয় সেক্ষেত্রেও ভালো অবস্থানে থাকবে মাশরাফির দল।

এদিকে অতোসতো সমীকরণ হিসাব নিকাশের সুযোগ নেই। এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচে জিততে হবে বাংলাদেশকে। বিজয়ীরা ভাগ্যের ভরসা বা অন্যের অনিষ্ঠ চিন্তা করার চেয়ে নিজ সামর্থ্যের ওপরই বেশি ভরসা রাখে। আর বাংলাদেশ যে নিজেদের সামর্থ্যেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারবে সেটা টাইগারভক্তরা ভালোভাবেই বিশ্বাস করে।

তাছাড়া যে কোনো দলের জন্যই টানা এই পাঁচটি ম্যাচ যে জেতা কঠিন সেটা কমবেশি সবাই জানে। আর বৃষ্টির কারণে যে আরও দুই-একটি ম্যাচের পরিণতি এমন হবে না সেটাও তো হলফ করে বলা যাচ্ছে না।

তাহলে কি হবে? টাইগারদের জন্য প্রতিটি ম্যাচই এখন ‘ডু আর ডাই’। হারলেই শেষ চারের স্বপ্ন শেষ এমনটা ভেবেই মাঠ নামতে হবে মাশরাফিদের।

এদিকে অন্তত আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হবে মাশরাফিদের, এটার বিকল্প নেই। অন্য দুটি ম্যাচে জিততে না পারলেও হারটা যাতে বড় ব্যবধান না হয় সেটা অন্তত নিশ্চিত করতে হবে বাংলাদেশকে।