এরশাদের চিকিৎসার জন্য আমরা টাকার সংস্থান করতে পারিনি : সংসদে রাঙ্গা

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চিকিৎসার জন্য টাকার সংস্থান হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আজকে উনি (এরশাদ) মৃত্যুশয্যায় কিন্তু উনার চিকিৎসার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তার সংস্থান এখন পর্যন্ত আমরা করতে পারিনি। আমরা উনাকে যে চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে… সেই অবস্থাও উনার তো নেই।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত উনাকে (এরশাদ) বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। আমরা চাই উনি আবার বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে আসুক। আজ পর্যন্ত আমি কোনো সংসদ সদস্যের কাছে শুনিনি যে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খারাপ লোক। কিন্তু বিএনপির ভাইদের কাছে শুনলেই তারা বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে বলেন, এরশাদ খারাপ লোক। তারা বলেন, সাত্তারের কাছ থেকে জোর করে তিনি (এরশাদ) ক্ষমতা নিয়েছেন, এসব মিথ্যা কথা। কোনো দিন তিনি ক্ষমতা নিতে চাননি। এরশাদকে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, লোকটা কবে মরবে? এসব কথা শুধু বিএনপির পক্ষেই বলা সম্ভব।

রাঙ্গা বলেন, এরশাদ জোর করে কোনো ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। সেই সময় হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি মন্ত্রীদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। হত্যা মামলার আসামিরা যদি মন্ত্রীর বাসায় আশ্রয় নেয়, সেই সরকারকে মানুষ কীভাবে এ দেশে রাখে? তাদের যে উৎখাত করা হয়নি, তাদের যে এই দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়নি, এটাই বড়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য এ সরকার যা করছে, আমরা তাতে সহযোগিতা করতে চাই। আমরাও চাই, বিএনপি সহযোগিতা করে এ দেশের মানুষদের জন্য কিছু করুক।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ২০০১ সালে আমার আট বছরের সন্তান নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে আসার সময় শনির আখড়ায় অপহরণ হয়েছিল। আমার একমাত্র সন্তান তখন ক্লাস ফ্লোরে পড়তো। রাত ৩টায় আমার ছেলের টেলিফোন পেলেও তার সঙ্গে যে কেয়ারটেকার ছিল তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ড্রাইভারকেও ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় এসব ঘটনা ঘটলেও বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে। ওই ঘটনার পর আমার ছেলে এখনও রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না। কিন্তু আমি কোনো বিচার পাইনি।