ওসি মোয়াজ্জেমকে শাস্তি পেতেই হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অপরাধের সঙ্গে যেই জড়িত হোক তাকেই শাস্তি পেতে হবে। সে ওসি হোক কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হোক আর জনপ্রতিনিধি হোক। মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে হত্যার জন্য ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন যতটুকু অপরাধ করেছে এর জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে। বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নুসরাত জাহানকে হত্যার ঘটনায় মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চার্জশিটে তার নামও এসেছে। পালিয়ে গেলে খুঁজে পেতে হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।

ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক। মোয়াজ্জেম অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত। ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুলিশের গড়িমসির সুযোগে পালিয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ফেনী ও রংপুর দুই জায়গার পুলিশই তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রংপুরে এসেছে। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত। পরোয়ানাটি সোনাগাজী থানার ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে। রংপুরে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করা হয়নি। বিধি মোতাবেক কাজ করার জন্য তিনি ফেনীর পুলিশকে জানাবেন।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। ৩১ মে পরোয়ানার চিঠি ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী মনির-উজ-জামান বারবার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ৩ জুন রাতে পরোয়ানা হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। এর দুই দিন পর বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পরোয়ানা রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। এখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলছে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি।