ফার্গুসন-বোল্টে আঘাতে চাপের মুখে পাকিস্তান

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওপেনা ফখর জামান বিদায় নেন। এরপর ৪৪ রানের মাথায় বিদায় ইমাম উল হক।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওপেনা ফখর জামান বিদায় নেন। এরপর ৪৪ রানের মাথায় বিদায় ইমাম উল হক। ৯ রান করে ফখর ১৯ রান করে আউট হন ইমাম উল হক।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানে সংগ্রহ ১৪ ওভারে ২ উইকেট ৫২ রান।

এর আগে বিশ্বকাপের ৩৩তম ম্যাচে আজ মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৩০ মিনিটে খেলাটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে সঠিক সময়ে টস হয়নি। এক ঘণ্টা পরে টস হয় এবং খেলা ১ ঘন্টা দেরিতে শুরু হয়।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাট করতে ৫ রান করে আমিরের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান মার্টিন গাপটিল। এরপর কলিন মুনরোকে ১২ রানে ফিরিয়ে দেন শাহীন আফ্রিদি।

এরপর আবারো তার আঘাত। ফিরে গেলেন রস টেলর। ৮ বলে মাত্র দুই রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর আফ্রিদির তৃতীয় শিকার। ১৪ খেলে মাত্র ১ রান করে সরফরাজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে সাভিস দিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। হাফসেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতেই শাদাব খানের বলে সরফরাজ হাতে ধরা পরেন। তার বিদায়ে চরম বিপদে পড়লো নিউজিল্যান্ড।

প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা যখন একে একে বিদায় নিয়েছেন তখন পাক বোলিংয়ে তাণ্ডবে মুখে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন জেমস নিশাম। ৭৭ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে তিনি এই অর্ধশতক হাঁকান। নিশামের পর বিপর্যয়ের অর্ধশতক হাঁকান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।৬৩ বলে ১টি ছয় ও ৪টি চার হাঁকিয়ে তিনি এই অর্ধশতক হাঁকান।

তবে ৬৪ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেন গ্র্যান্ডহোম। তবে শেষ পর্যন্ত ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নিশাম এবং নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ২৩৮ রান।

পাকিস্তান একাদশ: ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, হরিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), ইমাদ ওয়াসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, শাহীন আফ্রিদি।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: মার্টিন গুপটিল, কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), রস টেলর, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক), জেমস নিশাম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মিচেল স্যান্টনার, ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন।