বিশ্বকাপে ইতিহাস রচনা করলো ইংল্যান্ড। ইয়ন মরগানের অনবদ্য সেঞ্চুরি এবং জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটের জোড়া ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের বিশাল সংগ্রহ করে ইংলিশরা। বিশ্বকাপে এটা তাদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইয়ন মরগানের দল। এই ম্যাচে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করল।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪১৭/৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এই রেকর্ড গড়েছিল মাইকেল ক্লাকের নেতৃত্বাধীন দল।
এই বিশ্বকাপে ৫টি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে ৩০০ রানে উপরে রান করে তারা। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩১১ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৩৪ রান। তবে এই ম্যাচে হেরে যায় তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮৬ আর শেষ আফগানদের বিপক্ষে ৩৯৭ রান। আর উইন্ডিজদের বিপক্ষে ২১৩ রান।
এর আগে বিশ্বকাপের এবারের আসরে ২৪তম ম্যাচে আজ স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুই দল মুখোমুখি হয়।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মরগান। ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। তবে তাদের উড়ন্ত সূচনাতে আটকে দেন দৌলত জাদরান। ৩১ বলে ৩ চারের সাহায্যে ২৬ করা জেমস ভিন্স ফিরিয়ে দেন।
তবে অন্য প্রান্তে থাকা জনি বেয়ারস্টো ঠিকই নিজেই আরেকটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। ৬১ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি এই অধশতক হাঁকান। অর্ধশতক হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করার পথে ছিলেন তিনি। কিন্তু ৯০ রানের মাথায় গুলবদীন নাঈবের বলে ফিরে যান।
জেমস ভিন্স আউট হলে ক্রিজে আসেন জো রুট। এসেই দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। ৫৪ বলে ২টি হাঁকিয়ে অর্ধশতক তুলে নেন। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক ইয়ান মরগান। ৬ টি ছক্কা ও ২টি চারের সাহায্যে অর্ধশতক হাঁকান তিনি।
অর্ধশতক হাঁকানো পর টর্নেডো ইনিংস শুরু করেন তিনি। ৫৭ বলে ছক্বার পর ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। ১১টি ছক্কায় ও ৩টি চার হাকিয়ে তিনি এই সেঞ্চুরি হাঁকান। এরপর আরো নারকীয় হয়েও ওঠেন মরগান। আফগানিস্তানের বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলে করছেন।
তবে মরগান যখন টর্নেডো চলাচ্ছেন তখন অন্য প্রান্তে সেঞ্চুরি অপেক্ষায় ছিলেন জো রুট। তবে তাকে সেঞ্চুরি করতে দিলেন না গুলবদীন নাঈব। ৮২ বলে ৫ চার ও ১টি ছয় হাঁকিয়ে ৮৮ রান করেন। এরপর আবারো নাঈবের আঘাতে ফিরে যান মরগান। তবে যাওয়া আগে ইতিহাস রচনা করে ফিরে গেলেন তিনি। বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ১৭ ছক্কা হাকিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। ৭১ বলে ১৭টি ছয় ও চারটি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করে ফিরে যান।
মরগান ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন বাটলার। ২ বলে ২ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ফিরে স্টোকস। ছয় বলে জাদরানে বলে ২ রান করেন। শেষের দিকে মঈন আলির ঝড় ব্যাটিংয়ে ৩৯৭ রান করে ইংল্যান্ড। মঈন আলি ৯ বলে ৪টি ছক্কা ১ চারে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। জিততে হলে ৩৯৮ রান করতে হবে আফগানদের।
ইংল্যান্ড একাদশ: জেমস ভিন্স, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, জস বাটলার, মারগান (অধিনায়ক), বেন স্টোকস, টম কারান, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, মার্ক উড, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমত শাহ, নূর আলী জাদরান, নাজিবুল্লাহ জাদরান, হাশমতাউল্লাহ শহীদী, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, ইকরাম আলী খিল, গুলবদীন নাঈব (অধিনায়ক), রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, দৌলত জাদরান।
