ভিভ রিচার্ডস-গাঙ্গুলিদের ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব

আম্পায়ারের বিতর্কিত আউটের পরেও ৭ উইকেটে ২৬২ রান তোলে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে নিজেদের ৭ম ম্যাচে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩:৪০ মিনিটে। বৃষ্টির কারণে ১০ মিনিটে খেলাটি শুরু হয়। ১০ মিনিটে দেরিতে অনুষ্ঠিত টস জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানিয়েছে আফগানিস্তান।

ব্যাট করতে নেমে শুরু ভালো করলেও দুর্দান্ত এক ক্যাচের ফিরে যান লিটন দাস। মুজিব উর রহমান বলে ২টি চার হাঁকিয়ে ১৬ রান করে ফিলে যান। তবে বলটা মনে হচ্ছিল, মাটিতে লেগেছে। আম্পায়ার কয়েকবার রিপ্লে টেনে টেনে দেখলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউটের সিদ্ধান্তই দিলেন। মুজিব উর রহমানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলেন লিটন দাস। টিভি আম্পারের দায়িত্বে ছিলেন পাকিস্তানে আলিমদার।

এর পর ভুল এক এলবি আউট দিলো সৌম্যকে। মুজিব উর রহমান বলে জোড়ালো আবেদনে আউট দেন আম্পায়ার। পরে রিভিউ নেন সৌম্য। রিপ্লেতে দেখা যায় বল লাইলে বেশ বাইরে এবং লেগ স্ট্যাম্প হালকা লাগে। কিন্তু আম্পায় আউট দেন।

এদিন ৫১ রানের একটি ইনিংস খেলেন সাকিব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ১০০০ রান থেকে ৩৫ রান দূরে ছিলেন সাকিব। ম্যাচের ২১তম ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছুঁয়ে ফেলেন হাজারের উচ্চতা। চার অঙ্কের এই ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে সাকিবের লাগলো চার বিশ্বকাপ ও ২৭ ম্যাচ। এবারের বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে সাকিবের আগে শুধু ক্রিস গেইল রয়েছেন। তার ১১৩৮ রান। যখন আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তার রান সংখ্যা ছিলো ১০১৬*। হাজার রান করতে সাকিব ছাড়িয়ে গেলেন গ্রেট ভিভ রিচার্ডস, সৌরভ গাঙুলিদের।

বিশ্বমঞ্চে সাকিবের আগে ১৮ বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান ১ হাজার রানের মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন। আর সাকিব সেখানে ১৯তম সদস্য। ১০১৬ রান করে সাকিব এখন ১৬ তম স্থানে। এর ফলে ৫ রান করে টপকে যান ৯৬৯ রান করা লঙ্কান কিংবদন্তি অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। ৬ রান করে টপকে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্রেট শিব নারায়ন চন্দরপলকে (৯৭০)। অজি কিংবদন্তি স্টিভ ওয়াহ (৯৭৮), ম্যাথু হেইডেনকে (৯৮৭) টপকে সাকিব বিশ্বকাপের ১ হাজারি ক্লাবের সদস্য হন। সৌরভ গাঙুলি (১০০৬), মার্ক ওয়াহ (১০০৪), ভিভ রিচার্ডসকে (১০১৩) টপকে সাকিব (১০১৬) এখন এই ক্লাবের ১৬তম অবস্থানে।

বিশ্বকাপে ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার ৪৫ ম্যাচে ৪৪ ইনিংসে ৬টি সেঞ্চুরি আর ১৫টি ফিফটিতে শচীন করেছেন ২২৭৮ রান। দুইয়ে থাকা রিকি পন্টিং ৪৬ ম্যাচের ৪২ ইনিংসে করেছেন ১৭৪৩ রান। আর তিনে থাকা কুমার সাঙ্গাকারা ৩৭ ম্যাচের ৩৫ ইনিংসে করেছেন ১৫৩২ রান। হাজার রানের পাশাপাশি এই ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে ২৮টি উইকেটও আছে সাকিবের।