মাকে কষ্ট দিতে চাইনি, তাই দ্রুত উঠে দাঁড়িয়েছি: আফগান তারকা ক্রিকেটার

তখন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তানের খেলা চলছে। স্বাগতিকদের পর্বতসম ৩৯৮ রান তাড়া করছে আফগানিস্তান। স্ট্রাইকে ছিলেন আফগানিস্তানের হাসমতউল্লাহ শহিদি। আর ইংরেজ পেসার মার্ক উডের একটি বাউন্সার উড়ে এসে লাগল শহিদির হেলমেটে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ব্যাটসম্যান। এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার চলমান বিশ্বকাপের ২৪তম ম্যাচের।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শহিদি বাউন্সারে আহত হওয়ার পরপরই মাঠে ছুটে আসে আফগান ফিজিও দল। শুশ্রূষা দেওয়ার একপর্যায়ে শহিদিকে খেলা ছেড়ে চলে আসার পরামর্শ দেন ফিজিও। কিন্তু ফিজিওর কথা উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে উঠে দাঁড়ান শহিদি। ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ১৫০ রানে হারলেও দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংসটি খেলেন হাশমতউল্লাহ।

তবে কেন ফিজিওর পরামর্শ শুনলেন না? বিষয়টি নিয়ে ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সে প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

২৪ বছর বয়সী শহিদি বলেন, ‘মায়ের কথা ভেবেই দ্রুত উঠে দাঁড়াই। গত বছরই বাবাকে হারিয়েছি। তাই মাকে আর কষ্ট দিতে চাইনি।’

তিনি বলেন, ‘আমার গোটা পরিবার খেলা দেখছিল। এমনকি আমার বড় ভাই মাঠে বসে খেলা দেখছিলেন। আমি চাইনি আমার জন্য তাঁরা উদ্বিগ্ন হন।’

হাশমতউল্লাহ বলেন, “(মেডিকেল স্টাফরা) আমাকে বলছিল, ‘চলো যাই’। আমি ওদের বললাম… আমাকে দলের প্রয়োজন। খেলা চালিয়ে গেলাম। ম্যাচ শেষে আইসিসির চিকিৎসকদের কাছে গেছি, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাকে দেখলেন, বললেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ তাই হবে।’

আগামী শনিবার আফগানিস্তানের পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।