মোহাম্মদ মুরসি বাতিলের অনেক জুলুম নিৰ্যাতন সহ্য করেছেন: আল্লামা বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি সাহাবায়ে কেরামের স্মৃতিধন্য মিসরে আল্লাহর হুকুমত প্ৰতিষ্ঠার লক্ষে জুলুম ও তাগুতের বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্ৰাম করেছেন।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিসরের প্রথম প্ৰেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুরসীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্ৰকাশ করে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবাৰ্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাবুনগরী বলেন, মোহাম্মদ মুরসি হক প্ৰতিষ্ঠায় বাতিলের অনেক জুলুম নিৰ্যাতন সহ্য করেছেন, কারা প্ৰকৌষ্ঠে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। মজলুম অবস্থায় কারাগারেই তাকে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে হত্যা করা হয়েছে। মুরসির অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, মোহাম্মাদ মুরসী একজন হাফেজে কোরআন প্ৰেসিডেন্ট ছিলেন, কোরআন হাদীস সম্পৰ্কে ছিল তার যতেষ্ট জ্ঞান এবং তিনি ওলামায়ে কেরামকে সম্মান করতেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ছিলেন খুব গুরুত্ববান। এমন খোদাভীরু একজন প্ৰেসিডেন্টের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত।

তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ মুরসী শান্তিময় বিশ্ব গড়তে কোরআন সুন্নাহর সংবিধানে রাষ্ট্ৰপরিচালনা, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুমত প্ৰতিষ্ঠা এবং সন্ত্ৰাস দমনে ইসলামী জিহাদে বিশ্বাসী হকের ওপর অটল অবিচল একজন আপোষহীন নেতা ছিলেন। একজন আমানতদার প্ৰেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মুরসী মিসরের সব মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন।

বাবুনগরী বলেন, হাফেজ মুরসির অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি একজন দেশপ্ৰেমিক প্ৰেসিডেন্ট ছিলেন। শত জুলুম নিৰ্যাতন সত্ত্বেও স্বদেশ ছেড়ে কোথাও যাননি। মিসরের লাখ লাখ মুসলমানের প্ৰাণের নেতা ছিলেন হাফেজ মুরসি।