ম্যাচ হারার পর যাকে দুষলেন মাশরাফি

ব্যাট হাতে দুরন্ত সাহস দেখিয়েছেন মুশফিক, রিয়াদ, তামিমরা। তাদের এই সাহসীকতায় টানা তিন ম্যাচে দলের স্কোর ৩০০ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর অস্ট্রেলিয়ার সাথেও বাঘা বাঘা পেসারদের মোকাবিলা করে ৩০০ রান করে একটিতে জিতেছে। যে কারণে সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের সাহসের প্রশংসা করতে ভোলেননি অধিনায়ক মাশরাফি।

বিশাল স্কোর তাড়া করতে গিয়ে ইংলিশদের সাথে রান কিছুটা কম হয়েছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২২ তাড়া করে জিতেছে। আর অস্ট্রেলিয়াকে ভালোই তাড়া করে ৩৩৩ রান করে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করেছে।

আর এই তিনটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ বাড়তি ৪০ থেকে ৫০ রান পেয়ে বলে মনে করেন মাশরাফি। ওই ৪০/৫০ রানের কারণেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর এভাবেই বোলারদের ব্যাপারে আক্ষেপ করে মাশরাফি বলেন, ‘রান তো হবেই। এটা ব্যাটিং উইকেট। সবাই ব্যাটিং করতে চায়। এ ধরনের উইকেটে বল করা কঠিন। এই উইকেটে প্রতিপক্ষের স্কোর ৩২০ হলে ঠিক আছে। এমনকি ৩৪০ হলেও সেটা চেজ করা যেত। কিন্তু ৩৮০-এর বেশি হয়ে গেলে সেটা আর নাগালের মধ্যে থাকে না। তখন কিছুই করার থাকে না ব্যাটসম্যানদের।’

তিনি বলেন, চল্লিশ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশ বোলিং খারাপ করেনি। আর এরপরই অস্ট্রেলিয়া খেলার নিয়ন্ত্রণ নেয়, ‘৪০ ওভার পর্যন্ত আমরা ওদেরকে মোটামুটি আটকে রেখেছিলাম। ওভারপ্রতি ৬ রান করে চলছিল। মাত্র একটা উইকেট পড়লেও অস্ট্রেলিয়া তখনো ২৫০ রানের বেশি যেতে পারেনি। কিন্তু ম্যাচটা ক্রমশ আমাদের আওতার বাইরে চলে গেল ৪০ ওভার পরে। শেষ ১০ ওভারে ১৩১ রান যোগ করে দলের স্কোর ৩৮১ তে টেনে নিয়ে যায় অসিরা। ম্যাক্সওয়েলের কথাই যদি ধরি, মাত্র ১০ বলে সে ৩২ করে ফেলল।’

অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে মোসাদ্দেকের প্রয়োজনটা করেছেন জানিয়ে অধিনায়ক বললেন, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে মোসাদ্দেকের প্রয়োজনটা খুব বেশি অনুভব করছি। মোসাদ্দেক থাকলে ক্ষতিটা একটু কম হতো। মিরাজ একা হয়ে যাওয়াতে সমস্যা হয়ে গিয়েছে। মোসাদ্দেক থাকলে দুই পাশ থেকে দুইজন অফস্পিনারকে ব্যবহার করতে পারতাম।’

মোসাদ্দেকের পাশাপাশি সাইফুদ্দিনের অভাবও হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচেই সে ভালো বোলিং করেছে। কঠিন সময়ে দলের জন্য ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে। ইনফর্ম প্লেয়ারকে মিস করা টিমের জন্য কঠিন।’

সেমিফাইনালে ওঠা অনিশ্চিত হয়েও আশা ছাড়ছেন না অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘কঠিন হয়ে গেল। তবে অসম্ভব না। আমাদের এখনো তিনটি ম্যাচ বাকি। সেমিতে উঠতে হলে সেগুলো জিততে হবে। এর পাশাপাশি অন্যদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। এই টুর্নামেন্টে সবগুলো দলের আরো উত্থান-পতন দেখার বাকি আছে বলে মাশরাফি বিশ্বাস করেন।’