সাকিব প্রশংসা করে যা বললেন গুলবদীন নাঈব

এবারের বিশ্বকাপের আগে আফগানদের দেওয়া হুমকি-ধামকির ছিটেফোঁটাও দেখা গেলো না আসর শুরু হওয়ার পর। এখন পর্যন্ত খেলা সাত ম্যাচের একটিতেও পাত্তা পায়নি আফগানরা। সবগুলোতে হেরে পয়েন্ট টেবিলে সবার শেষে অবস্থান তাদের। বাংলাদেশের সঙ্গেও তেমন হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু সাকিবের ঘুর্ণিতে উড়ে গেল আফগানিস্তান। আম্পায়ারের বিতর্কিত আউটের পরেও ৭ উইকেটে ২৬২ রান তোলে বাংলাদেশ। ২৬৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ধীর গতিতে শুরু করে আফগানিস্তান। এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে আফগান দুই ওপেনার। তবে সাকিবের প্রথম ওভারে ৪৯ রানে মাথায় ঝলে ওঠা রহমত শাহ ফিরে যান। ৩৫ বলে ৩টি চার হাঁকিয়ে ২৪ রান করেন তিনি।

এরপর মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত বলে মুশফিকে স্ট্যাম্পিংয়ে শিকার হন হাশমতাউল্লাহ শহিদী। ৩১ বলে ১১ রান করে ফিরে তিনি। তবে চাপ সামলে হাফেসেঞ্চুরি করার পথে এগিয়ে যান গুলবদীন নাঈব। কিন্তু সাকিবের আটসাটো বলে লিটনে হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে ৭৫ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান। এরপর আবারও সাকিবের আঘাত কোন রান না করে ফিরে যান মোহাম্মদ নবী।

চতুথ উইকেট শিকার করলেন সাকিব। ৩৮ বলে ২০ রান করা আসগর আফগানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ইকরাম আলীকে রান আউট করে ফিরিয়ে দেন লিটন দাস। ১২ বলে ১১ রান করে ইকরাম। ৬ উইকেট পরার পর কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরার চেস্টা করে আফগানিস্তান। কিন্তু রেকর্ড ৫টি উইকেট নিয়ে সে চেস্টা প্রতিহত করেন সাকিব। ২৩ বলে ২৩ রান করা নজিবুল্লাহকে ফিরিয়ে দেন সাকিব।

সাকিবের পর মোস্তাফিজের আঘাত। ৩ বলে ২ রান করা রশিদ খানকে ফিরিয়ে দিলেন তিনি। আবারো মোস্তাফিজের আঘাত। কোন রান না করে ফিরে গেলেন দৌলাত জাদরান। শেষ পর্যন্ত ৪৭ ওভারে সবকটি উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ২০০ রান করে তারা। বাংলাদেশ ৬২ রানের বিশাল জয় পায়। বাংলাদেশে সাকিব ১০ ওভারে ১ ম্যাচে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। এ জয়ে ৭ পয়েন্ট পেয়ে সেমির স্বপ্ন জাগিয়ে রাখলো টিম টাইগার।

এদিকে, ম্যাচ জয়ে সব কৃতিত্ব সাকিবকে দিলেন আফগান অধিনায়ক। সাকিবের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই, শেষ দুইটি ম্যাচে আমরা কঠিন খেলা খেলেছি। আজ ফিল্ডিংয়ে আমরা ৩০-৪০ রান বেশি দিয়েছি। উইকেট ধীরগতির ছিলো, যা স্পিনারদের সহায়তা করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা আমাদের সহায়তা দেয়নি। তবে সব কৃতিত্ব সাকিবেরই। সেই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’