বর্তমান সময়ে কোভিড-১৯ বা করোনা মহামারি আকার ধারণ করায় সমগ্র তৈরি পোশাক শিল্প একটি অনাকাক্সিক্ষত যুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে। তবে ৩৪ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসা ব্যাবিলন গ্রুপ সব সময় শ্রমিকদের পাশে থেকেছে; বর্তমান পরিস্থিতিতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাবিলন গ্রুপের অন্যতম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘অবনী ফ্যাশনস লিমিটেড’ এবং ‘ব্যাবিলন ক্যাজুয়ালওয়ার লিমিটেড’ সম্পর্কে অসত্য এবং বানোয়াট সংবাদ প্রচার হলে সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রচারিত এবং প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবেদনে বলা হয় ওইদিন কোম্পানির কয়েকশ’ শ্রমিক ছাঁটাই করা হয় এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোম্পানি দুটি ওইদিন খোলা রাখা হয়। প্রতিবেদনে এও বলা হয়, কোম্পানিগুলোর কর্তৃপক্ষ এক রিপোর্টারদের জানিয়েছেন বায়ার কর্তৃক কার্যাদেশ বাতিল হওয়ায় তারা এমনটা করেছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কোম্পানি দুটি লে-অফ ঘোষণা করে। সব স্থায়ী শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন তাদের মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে ৭ এপ্রিল তারিখে পরিশোধ করা হয়। কোম্পানি দুটির শুধুমাত্র শিক্ষানবিশকালে থাকা শ্রমিকদের (তিন মাস বা তার কম সময়ের কর্মী), যাদের মোবাইল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করা হয়নি, তাদের ক্যাশ পেমেন্ট করার জন্য ৮ এপ্রিল তারিখে ডাকা হয়। এমনকি পেমেন্ট করবার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, শ্রমিক আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়।
ব্যাবিলন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘অবনী ফ্যাশনস লিমিটেড’ এবং ‘ব্যাবিলন ক্যাজুয়ালওয়ার লিমিটেড’ কর্মকর্তারা জানান, ওইদিন কোন শ্রমিকের কাছ থেকে চাকরি হতে অব্যাহতি পত্রে জোরপূর্বক সই করাবার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এ সম্পর্কিত সমস্ত প্রমাণাদি কোম্পানি ডাটাবেজে সংরক্ষিত আছে, যা প্রয়োজনে উপস্থাপনযোগ্য। কিন্তু প্রতিবেদনে যেভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা কোম্পানি দুটিকে হেয় প্রতিপন্ন করবার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কি না এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সন্দিহান। তাছাড়া গত ৩৪ বছরে কোম্পানির রেকর্ডে এ ধরনের একটিও নিয়ম অমান্য করার নজির নেই। তাই ব্যাবিলন গ্রুপের কোনো কোম্পানি সম্পর্কে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া শুধুমাত্র ওই কোম্পানিগুলোকেই নয় বরং সমগ্র ইন্ডাস্ট্রির জন্যই হুমকিস্বরূপ।