মিরসরাইতে কৃষকদের নিয়ে শিগগিরই কৃষি কর্মসূচি শুরু করব : মাহবুব রহমান রুহেল

করোনা ভাইরাসের স্থায়িত্ব কতদিন থাকে এখনো বিশেষজ্ঞরা কিছু বলতে পারছেন না। ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে সরকার চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকার ঘোষিত ছুটির পাশাপাশি ঘরে অবস্থান করানোর মাধ্যমে সংক্রমন বিস্তার রোধে মনোযোগী। কার্যত দেশজুড়ে অঘোষিত লকডাউন চলছে। জীবন জীবিকা স্থবির হয়েছে। সরকার নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ করছে, বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী উপহার হিসেবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। তেমনই চট্টগ্রামের মিরসরাইতে পণ্যসামগ্রী মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন আইটি বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রামের তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব রহমান রুহেল। তিনি দু’দফায় নিজে থেকে কর্মসূচি চালু করেন যা এখনো চলমান।

জানা যায়, করোনা ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে অঘোষিত লকডাউন দীর্ঘ হলে কৃষক এবং উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই কিছু কৃষি কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছেন।

মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘সরকারের যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে, কৃষিতে সরকার প্রনোদনা দিচ্ছে। এর পাশাপাশি মানুষ অনেকে গ্রামে রয়েছে তারা যদি নিজ নিজ বাড়ির অনাবাদি জমিতে যতটুকু সম্ভব ফলমূল, শাকসবজির আবাদ করে নিজের পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারবে। কৃষক এবং কৃষি সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ত করে কৃষি উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করব, তাদের মাঝে বীজ এবং কৃষি সামগ্রী ও দেয়া হবে। বাংলাদেশের মাটি উর্বর। এখন লালশাক, ডাঁটা, বেগুন, মরিচ, আদা, হলুদ, ঢেঁড়স বীজ আবাদ করা যায় সময়। সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা রোপণ করা যায়। মিষ্টিকুমড়া, ঝিঙা, চিচিংগা এসব মিরসরাইতে ভালো ফলে। করোনায় বিশ্বব্যাপী খাদ্য চাহিদা বাড়বে। আমরা সবাই নিজেরা এই সময় কৃষিকার্যে সম্পৃক্ত হলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি সম্ভব। মিরসরাইয়ে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রিতে কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা দেয়া যায় তাও ভাবছেন।

মাহবুব রহমান রুহেলের ব্যক্তিগত সহকারী হাবিব খান বলেন, তিনি জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মিরসরাইয়ের বিভিন্ন কর্মসূচিতে করোনা নিয়ে সতর্ক করে আসছেন, আমরা সেভাবে গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারিনি। ১৭ মার্চ তিনি মিরসরাইতে জনসচেতনতার শুরু করেন নিজে লিফলেট বিতরণ করে, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে। এরপর মানুষের মাঝে পণ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছেন। পণ্য বিতরণ কর্মসূচির আলাপকালে এই মাসের (এপ্রিল) দুই তারিখে তিনি পরিকল্পনা করেন এ পরিস্থিতিতে কৃষি কর্মসূচি নিয়েও অগ্রসর হওয়া উচিত।