লেমিনেটিং এনআইডি পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড সরবরাহের সময় জমা নেওয়া লেমিনেটিং করা এনআইডিগুলো পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (এনআইডি)। এক্ষেত্রে পুরাতন ওই এনআইডিগুলো অন্যকিছুতে রুপান্তরের কথা ভাবা হচ্ছে।

ইসি সূত্র থেকে জানাগেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় এ সংক্রান্ত নির্দেশনা এনআইডি বিভাগকে দিয়েছে সংস্থাটির সচিব মো. আলমগীর।

সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণকালে গৃহীত পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবেশবান্ধব উপায়ে নিষ্পত্তির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এটুআই (এক্সেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্পের আই ল্যাবের মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে ইসি। বর্তমানে পেপার লেমিনেটেড কার্ডকে পরিবেশবান্ধব উপায়ে কনভার্ট করে অন্য কোনো উপাদান প্রস্তুত করা যায় কি-না, সে পরিকল্পনা চলছে।

এব্যাপারে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট মোহাম্মদ শফিক বলেন, এ পর্যন্ত ছয় কোটি এক লাখ স্মার্টকার্ড উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। মোট বিতরণ হয়েছে পাঁচ কোটি সাত লাখ ৯০ হাজার কার্ড। এছাড়া এক কোটি দুই লাখ ফাঁকা কার্ডে তথ্য সন্নিবেশ করার কাজ চলছে। এই কার্ডগুলো অর্থাৎ সাত কোটি তিন লাখ কার্ড ফরাসি কোম্পানির কাছ থেকে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২০ সালে হালনাগাদ শেষে তালিকায় নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩০ জন। এক্ষেত্রে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এ হিসেবে দেশের অর্ধেক সংখ্যক ভোটারের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অবশিষ্ট তিন কোটি ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি কার্ড উৎপাদন ও বিতরণে যেতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।

বিতরণ করা স্মার্টকার্ডের প্রায় সমসংখ্যক পেপার লেমিনেটিং এনআইডি জমা নেয় ইসি। এক্ষেত্রে প্রায় কয়েক কোটি বাতিল এনআইডি নিষ্পত্তি করতে হবে ইসিকে।

২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকার ভিত্তিতেই পরবর্তীতে নয় কোটি ভোটারকে পেপার লেমিনেটেড এনআইডি সরবরাহ করে ইসি। পরবর্তীকালে যারা ভোটার হয়েছেন, তাদেরও অনেকে এই কার্ডই পেয়েছেন। বর্তমানে দেশের সব নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেওয়ার লক্ষ্যে ইসি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।