আগামীকাল পহেলা ফাল্গুন

এসে গেছে শীতের বিদায় লগ্ন। আগামীকাল (শনিবার) ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ফাল্গুন মাস। বাঙালিরা ফাল্গুনের প্রথম দিনটি উদযাপন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এদিকে একই দিন ভ্যালেন্টাইস ডে বা ভালোবাসা দিবস। একদিনে উদযাপনের জন্য দু’টি উপলক্ষ পেয়েছে বাঙালি।

গাছে গাছে পলাশ ও আমের মুকুলের আগমনে প্রকৃতিতে আগমন ঘটেছে বসন্তের। সকালে শিশির বিন্দুতে ভিজে লাল টকটকে হয়ে উঠেছে ডালিয়া। রাতভর শিশির স্নানে রঙ ধরছে চন্দ্রমল্লিকাতেও।

হিমেল হাওয়ায় সতেজ হয়ে উঠছে গাদা ফুলের গাছগুলো। গাছগুলোতে নেচে বেড়াচ্ছে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি। ফুল বাগানে ছড়িয়ে পড়েছে রঙিন ফুলের সৌরভ। এমনই ফুলের পরশে মোহনীয় হয়ে উঠছে মোংলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দর্শনীয় স্থান, সড়ক, সড়ক দ্বীপ ও নার্সারি।

উঁচু ভবন থেকে দেখলে মনে হয় যেন এক টুকরো মাটিতে ফুলের গালিচা বিছানো। গাছের পাতার ভাঁজে ভাঁজে হেসে উঠছে সবুজ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।

দেশের উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে নানা রঙের ফুল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফুল ও ফুলের চারা বিক্রি করা হয়।

রয়েছে শতাধিক প্রজাতির গাঁদা ফুল। বিদেশি গাঁদার মধ্যে রয়েছে- মেরি গোল্ড, ইনকা, জাম্বু, চাইনিজ, ফায়ার বন, ভারত থেকে আনা পানচাটিয়াসহ প্রায় শতাধিক গাঁদা ফুল। এছাড়া রয়েছে- কালগোলাপ, সবুজ গোলাপ, লাল গোলাপ, ভিনকা, স্নোবল, জারবেরা, ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা রকমের ফুল।

দেশি ফুলসহ আরও রয়েছে- জবা, টগর, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, কামিনী, বেলী, জুঁই, চামেলী, রঙ্গন, একঝাড়া, বারবিনা, স্টার, ফলিয়ক্স, নয়নতারা, কালেনগোলা, সানবিয়া, ন্যাশটোসিয়াম, পিটুলিয়া, ইসকাস্লোবালসহ হাজারো প্রজাতির ফুল।