ঋতুকে পেলে ভাল, না হলে ঊর্মিলা-দিয়া মির্জাকে প্রস্তাব দেবঃ শ্রীলেখা

সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল মৃত্যুর পরে স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। টালিগঞ্জের একে একে অনেকেই মুখ খোলেন ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিক নিয়ে। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর লাইভ ভিডিয়োর পরে তোলপাড় হয়ে যায় টলি-পাড়া। পুরনো সম্পর্কগুলোর কথা না ভেবেই সরব হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু এখন জীবনের এমন একটি মোড়ে এসে দাঁড়ালেন শ্রীলেখা, যেখানে তাঁর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর প্রয়োজন পড়েছে। স্পল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বিটার হাফ পরিচালনা করে নির্দেশক হিসেব হাতেখড়ি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর। এ বারে নতুন গল্পে হাত দিয়েছেন তিনি। লেখার সময়ে মূল চরিত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে বার বার তাঁর ঋতুপর্ণার চেহারাই মুখে ভেসে উঠেছে। তাঁর মনে হয়েছে, এই চরিত্রটা যদি তাঁকে দিয়ে করানো যায়!

শ্রীলেখা বললেন, লিখতে গিয়ে এক একটা চরিত্র চোখের সময়ে ভাসে না? সে রকম ভাবেই মহিলা চরিত্রটির জন্য ঋতুর কথা মনে হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তের পরিস্থিতি বিচার করলে, আমাদের সম্পর্কটা খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। দেখা যাক কী হয় না হয়।

অভিনয়ের দিক দিয়ে নাকি চেহারার জন্য, কী ভাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কথা মনে হচ্ছে তাঁর? শ্রীলেখার কথায়, বয়স ও চেহারার জন্য বিশেয করে। ঠিক যে অভিনয়টার প্রয়োজন রয়েছে, সেটা আমি করিয়ে নেব। তবে ওই চরিত্রটা ওরই মতো। তাই অভিনয়ের খুব একটা প্রয়োজনই পড়বে না।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নাম করে অভিযোগ করেছিলেন শ্রীলেখা। তাঁর কথায়, প্রসেনজিতের সঙ্গে অন্নদাতা হিট হওয়ার পরে আমাদের দুজনকে জুটি করে আরও ছবির কথা চলছিল। সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও আমি বাদ পড়ি। সেখানে ঋতুপর্ণাকে নেওয়া হয়। নায়কের সঙ্গে প্রেম করলেই ছবির সুযোগ আসে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে এটা একমাত্র নয়, এ রকম হাজারো গল্প রয়েছে।

তবে কি এ বারে একটু সমস্যায় পড়তে চলেছেন তিনি? যদি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত রাজি না হন, তবে কি সে দিন মুখ খোলার জন্য আফসোস করবেন শ্রীলেখা মিত্র? স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি ওই ধাঁচের মানুষই নন। তিনি নিজের কাছে সম্পূর্ণ সঠিক। যদি ঋতু না বলে দেয়, তবে মুম্বইয়ের অভিনেত্রীকে প্রস্তাব দেব। হয় ঊর্মিলা মাতন্ডকর নয়তো দিয়া মির্জা।

সূত্রঃ আনন্দবাজার