বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মোবাইল চুরির অভিযোগে আশিক জোমাদ্দার (২২) নামে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিকে হাত-পা বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁরপরে সেই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়ানো হয়।
গত বুধবারের এ ঘটনায় মামলা দায়েরের চার দিনেও প্রধান আসামি চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সোহেল খান ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার বাগেরহাটের পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার চরনিপত্তাশী গ্রামের কবির জোমাদ্দারের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিক জোমাদ্দার।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মীর মো. সাফিন মাহমুদ বলেন, গত বুধবার পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার চরনিপত্তাশী গ্রামে আশিক জোমাদ্দারকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়। পরে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বড় জামুয়া গ্রামে হাত-পা বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে ইউপি সদস্য সোহেল খান ও তার সহযোগীরা।
ছাত্রলীগ নেতার নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়। নির্যাতনের এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের শিকার আশিককে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় পর আশিক বাদী হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ঘটনার পর নির্যাতনকারী ইউপি সদস্য একাধিক মামলার আসামি সোহেল খান ও তার সহযোগীরা গা-ঢাকা দেয়ায় তাদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি।
এদিকে, পুলিশ সন্ত্রাসী ইউপি সদস্য সোহেলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি রামদা ও হকিস্টিক উদ্ধার করে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।