বাংলাদেশের ডাল-ভাত পছন্দ করেন আমির

বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা, অতিথিপরায়ণতার অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটারেরই প্রশংসা করতে দেখা গেছে। অনেকেই বাংলাদেশকে নিজেদের দ্বিতীয় বাড়িও মনে করে থাকেন। এদের মধ্যেই একজন জনপ্রিয় পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। খেলোয়াড়ী জীবনে একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছেন। বন্ধু-বান্ধব বানিয়েছেন অনেক। এটা-ওটা খেয়ে বাংলাদেশের খাবারের ভক্ত হয়েছেন তিনি। তবে তাঁর মুখে সবচেয়ে সুস্বাদু লেগেছে বাংলাদেশের ডাল-ভাত।

জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর নতুন আয়োজন ‘ক্রাঞ্চ টাইম’-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন আমির। সেখানেই তিনি বাংলাদেশের প্রিয় খাবারের কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে অনেক সময়ই বাংলাদেশে এসেছেন ২৮ বছর বয়সী এ পেসার। দীর্ঘদিন বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন। এ সময় বাংলাদেশের নিরামিষ খাবারই বেশি খেয়ে থাকেন। তবে এগুলোর মধ্যে সাদা ভাত ও ডাল মাখনি বেশি পছন্দ আমিরের।

বিভিন্ন লিগ টুর্নামেন্ট খেলতে গেলে পছন্দের খাবার কোনটি?- এমন প্রশ্নের জবাবে আমির বলেন, আমি দুবাই গেলে টার্কিশ ও লেবানিজ খাবার খেতে ভালোবাসি। এতে কোনো চর্বি নেই। যার ফলে আমি প্রোটিন ও শর্করা পেতে পারি।

আমির বলেন, বিপিএলের মতো জায়গায় গেলে আমি সাদা ভাত ও ডাল মাখনি খাই। বাংলাদেশের এ খাবার আমার পছন্দের। এছাড়া নিরামিষ খাবার বেশি খাই বাংলাদেশ। পাকিস্তানে ফেরার পর আমি পাস্তা, ম্যাশড পটেটো, চিকেন স্টিক খেতে পারি। কারণ আমার স্ত্রী ভালো রাঁধুনি।

বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের খাবার খেলেও, সময়ের বিষয়ে কড়া নজর রাখেন আমির। একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকা অনেক বেশি জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এতে করে শরীরের ঘাটতি পূরণের যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যায় বলে জানান আমির।

আমির জানান, একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি সকালের খাবার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সকালে আপনাকে কিছু খেতেই হবে। অন্যথায় সারাদিন এর জন্য ভুগতে হবে। আমি সবসময় রুটিন মেনে খাবার খাই। সকালে সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে, দুপুরে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে এবং রাতে সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে খাবার খেয়ে থাকি।

এভাবে রুটিন মেনে খাবার খাওয়ার পেছনে শক্ত কারণের কথা উল্লেখ করে আমির বলেন, আমাকে সময় মতোই খাবার খেতে হবে। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপনি সারাদিন মাঠে, জিমে বা ট্রেনিংয়ে কাটিয়ে থাকেন। তাই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনার রিকভারিটাও ঠিক সময়ে হয়।